আইএসএফের সঙ্গে জোট – ধুন্ধুমার সিপিএমের রাজ্য কমিটিতে

ভোট বিপর্যয়ের কারণ বিশ্লেষণ করতে শনিবার প্রথম দলের রাজ্য কমিটি আলোচনায় বসেছিল

May 30, 2021 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

আব্বাস সিদ্দিকির দল আইএসএফের (ISF) সঙ্গে রাতারাতি জোট করা নিয়ে শনিবার সিপিএমের (CPIM) রাজ্য কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে কার্যত সমালোচনার ঝড় উঠল। আব্বাসদের সঙ্গে মাখামাখিকে মানুষ ভালো চোখে যে দেখেনি, তা উল্লেখ করে দলের কয়েকজন নেতা বলেন, এর ফলে অনেক বামমনস্ক ভোটও জোটের বাক্সে পড়েনি। দলের অন্দরে সেভাবে আলোচনা না করেই ওই পদক্ষেপ গ্রহণ করায় তা ব্যুমেরাং হয়েছে বলে মন করছেন তাঁরা। তবে দলের আরেকটি অংশ আইএসএফের সঙ্গে জোটের পক্ষেই সওয়াল করে। তাঁদের কথায়, কংগ্রেস ও আব্বাসদের সঙ্গে জোট গড়া না হলে ছিটেফোঁটা ভোটও সিপিএমের ঝুলিতে আসত না। উল্লেখ্য, ভোট বিপর্যয়ের কারণ বিশ্লেষণ করতে এই প্রথম দলের রাজ্য কমিটি আলোচনায় বসল। 

অনেকেই এদিন ভোটের রণকৌশল নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। আইএসএফকে তড়িঘড়ি জোটে শামিল করার ব্যাপারে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী। রাজ্য কমিটিতে এনিয়ে আলোচনা না হওয়ায় জেলার নেতা-কর্মীরা মানুষের কাছে জোট সম্পর্কে জুতসই উত্তর দিতে পারেননি। ফলে সাধারণ সমর্থকদেরও তা বোঝানো সম্ভব হয়নি। এর মাশুল দিতে হয়েছে দল তথা গোটা মোর্চাকে। \

তবে আইএসএফ নিয়ে রাজ্য কমিটিতে ঝড় উঠলেও ভোটের ফল বেরনোর পর কয়েকজন নেতা যেভাবে প্রকাশ্যে সংবাদ বা সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন, তার সমালোচনা করেছে রাজ্য নেতৃত্ব। এই কারণে প্রাক্তন বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্যকে তিন মাসের জন্য কোথাও মুখ খুলতে বারণ করেছে দল। বর্ধমানের অমল হালদার বা অপূর্ব মুখোপাধ্যায়রা এই ধরনের সমালোচনা করায় নিজেরাই মার্জনা চেয়ে নেন। তাই তাঁরা শাস্তির কোপ থেকে রেহাই পেয়েছেন।রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেছেন, পরিস্থিতি বিচার করেই মোর্চা গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে আমরা আগবাড়িয়ে মোর্চা ভেঙে দেওয়ার পথে হাঁটব না। যদি কংগ্রেস বা আইএসএফ চলে যেতে চায়, সেটা তাদের ব্যাপার।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen