শীত পড়তেই ভিড় জমছে চিড়িয়াখানায়

অধিকর্তা জানিয়েছেন, পশু-পাখিদের খাঁচায় অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল মেডিসিন-সহ বিভিন্ন জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। কোন‌ওরকম রোগজীবাণু যাতে পশু-পাখিদের সংক্রামিত করতে না-পারে তার জন্যই এই বিশেষ ব্যবস্থা।

November 25, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

পারদ নামছে ক্রমান্বয়ে। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছেপর্যটক সমাগম আলিপুর চিড়িয়াখানায় (Alipur Zoo)। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে শনি ও রবিবারের তুলনায়, চিড়িয়াখানায় ভিড় গত রবিবার অনেকটাই বেশি ছিল। জানিয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। ধীরে ধীরে কোভিড আতঙ্ক ভুলে শীতের মরশুমে বনভোজনের স্বাদ পেতে চিড়িয়াখানাগামী হচ্ছেন শহরের অনেক মানুষ‌। ভিড় বাড়ছে কচিকাঁচাদের। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পর্যটক সমাগম বাড়লেও সামাজিক দূরত্ব-সহ (Social Distance) সমস্ত কোভিড বিধি মেনে চলা বাধ্যতামূলক। পাশাপাশি, শীতের হাত থেকে রক্ষা করতে জীবজন্তুদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শরীর গরম রাখার জন্য সুসজ্জিত শোবার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে, আহারেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। সব মিলিয়ে শীতের মরশুমে জীবজন্তু এবং পর্যটক দু’পক্ষের জন্যই একেবারে প্রস্তুত চিড়িয়াখানা।

কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, গত শুক্রবার থেকে পশুশালায় সমাগমের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে। এখনও পর্যন্ত গত রবিবার যা সবচেয়ে বেশি হয়েছিল। অধিকর্তা আশিসকুমার সামন্ত জানান, সেদিন প্রায় সাড়ে ৪ হাজার পর্যটক টিকিট কেটেছেন, যা কিনা কোভিড পরিস্থিতিতে প্রবেশদ্বার খোলার পর থেকে একদিনে সর্বোচ্চ। পরিসংখ্যান বলছে, গোটা অক্টোবরে মোট দর্শক হয়েছিল প্রায় ১৫ হাজার। সেই আশঙ্কা ধীরে ধীরে কাটিয়ে উঠছে শহরের পশুশালা। শীত আর‌ও জাঁকিয়ে পড়লে চিড়িয়াখানার চেনা দৃশ্যই ফিরে আসবে বলে আশায় রয়েছে কর্তৃপক্ষ।

অন্যদিকে, উত্তরের হিমেল হাওয়া শহরের প্রবেশ করতেই পশু-পাখিদের জন্য বাড়তি খেয়াল নিতে শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কাজের জন্য তৈরি করা হয়েছে উইন্টার-স্পেশাল বেডিং। সাপেদের প্রত্যেকের নিজস্ব ঘরে খড় দিয়ে বিশ্রামস্থল তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। ঠান্ডা থেকে তাদের বাঁচানোর জন্য খড়ের ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অধিকর্তা। একইসঙ্গে বাঘ, সিংহ, চিতা, জাগুয়ারদের জন্য কাঠের পাটাতন দিয়ে তৈরি করা হয়েছে একরকম বিশেষ কাঠামো। মাটির সংস্পর্শ এড়িয়ে তারা যাতে ঠান্ডা থেকে রক্ষা পেতে পারে তার জন্যই এই ব্যবস্থা। কাঠের পাটাতনে ঘুমোতে পারবে প্রাণীগুলি। অন্য প্রাণীদের জন্য থাকছে পৃথক ব্যবস্থা। কারও কারও খাঁচার চারদিক ত্রিপল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হবে। শীতকালের কথা মাথায় রেখে জীবজন্তুদের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা হয়েছে। মাংসাশী প্রাণীদের খাদ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।

অধিকর্তা জানিয়েছেন, পশু-পাখিদের খাঁচায় অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল মেডিসিন-সহ বিভিন্ন জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। কোন‌ওরকম রোগজীবাণু যাতে পশু-পাখিদের সংক্রামিত করতে না-পারে তার জন্যই এই বিশেষ ব্যবস্থা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen