CU: রাজ্যপালের প্রিয়পাত্রী শান্তা দত্তের জন্য ক্রমাগত পতন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিংয়ে?
২০২৩-পরবর্তী র্যাঙ্কিংগুলো চিত্র ভয়াবহ হয়ে উঠেছে: ২০২৪ সালে সামগ্রিক বিভাগে ২৬তম এবং বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগে ১৮তম স্থান

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২০:৫৩: সবসময় দেশের প্রথম সারির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় University of Calcutta – CU) ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশন র্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্কে (NIRF) ধারাবাহিকভাবে পড়ছে।
২০২৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সামগ্রিক বিভাগে ২৩তম এবং রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগে ১২তম স্থানে ছিল। গভর্নর-নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপিকা শান্তা দত্তের দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকে এই পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি ঘটেছে।
সামাজিক মাধ্যম এবং রাজনৈতিক মদদপুষ্ট গণমাধ্যমের দৌলতে তাঁর “শক্তিশালী ও দৃঢ়” ভাবমূর্তি গড়ে তোলার চেষ্টা করা হলেও, বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্ষেত্রে এর ইতিবাচক প্রতিফলন দেখা যায়নি। বরং, ২০২৩-পরবর্তী র্যাঙ্কিংগুলো চিত্র ভয়াবহ হয়ে উঠেছে: ২০২৪ সালে সামগ্রিক বিভাগে ২৬তম এবং বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগে ১৮তম স্থান, এবং আজ প্রকাশিত ২০২৫ সালের র্যাঙ্কিংয়ে এই পতন আরও বেশি হয় – সামগ্রিক বিভাগে ৪৭তম এবং বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগে ৩৯তম স্থানে নেমে এসেছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।
যে প্রতিষ্ঠান ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থার মেরুদণ্ড ছিল, তাকে আজ এই অবস্থানে পৌঁছনোর পেছনে দায়ী করা হচ্ছে ক্ষুদ্র রাজনীতি ও উপাচার্যের ব্যক্তিগত ফুটেজ কুড়ানোর প্রবণতাকে। প্রশ্ন উঠেছে, ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে যদি গবেষণা, শিক্ষার গুণগত মান, শিক্ষক-ছাত্রদের জন্য পরিকাঠামো এবং প্রশাসনিক দক্ষতার উন্নয়নে সমান মনোযোগ দেওয়া হতো, তাহলে হয়তো কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় আজও তার ঐতিহ্যবাহী অবস্থান ধরে রাখতে পারত। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়তেও কেন্দ্রীয় সরকার নিযুক্ত উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ভার সামলানোর পরে একই ভাবে পতন ঘটেছিল তার র্যাঙ্কিংয়ের।
সর্বদা মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্য সরকার এবং শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত শান্তা দত্তের জন্য কী তাহলে অবনমনের মুখোমুখি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়? উঠছে প্রশ্ন।