কামিংসের অশ্লীল ইঙ্গিত, ডার্বিতে ফিরল ২০০৫ এর গ্রেগ চ্যাপেলের স্মৃতি
কলকাতা ডার্বি মানেই আবেগ, উত্তেজনা, ইতিহাস আর বিতর্ক। এবারও তার অন্যথা হলো না।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৩:৩০: কলকাতা ডার্বি মানেই আবেগ, উত্তেজনা, ইতিহাস আর বিতর্ক। এবারও তার অন্যথা হলো না। ১৭ আগস্ট যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। মাঠের লড়াইয়ে ইস্টবেঙ্গল ২-১ গোলে জিতলেও ম্যাচ-পরবর্তী এক ঘটনার জন্য আরও বেশি আলোচনায় চলে এসেছেন মোহনবাগানের তারকা ফরোয়ার্ড জেসন কামিংস।
পরাজয়ের হতাশা যেন সামলাতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ান এই স্ট্রাইকার। মাঠ থেকে বেরিয়ে টিম বাসে ওঠার সময় ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা যখন “জয় ইস্টবেঙ্গল” ধ্বনিতে গ্যালারি কাঁপাচ্ছিলেন, ঠিক তখনই কামিংস মাঝের আঙুল(মধ্যমা) তুলে অশ্লীল ইঙ্গিত করেন। মুহূর্তের মধ্যেই সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়, শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। অনেকেই এই ঘটনাকে ২০০৫ সালে ইডেনে গ্রেগ চ্যাপেলের কুখ্যাত ইঙ্গিতের সঙ্গে তুলনা করছেন।
ম্যাচের দিক থেকে দেখলে, ইস্টবেঙ্গলের গ্রিক স্ট্রাইকার দিমিত্রিওস ডায়ামান্টাকোস ছিলেন এই দিনের নায়ক। হামীদ আহাদাদের চোটের পর ১৮ মিনিটে বদলি হিসেবে নেমে তিনি ম্যাচের গতি ঘুরিয়ে দেন। প্রথমে ৩৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল, তারপর ৫২ মিনিটে আরেকটি নিখুঁত শট—তাঁর জোড়া গোলেই ইস্টবেঙ্গল ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। যদিও ৬৭তম মিনিটে অনিরুদ্ধ থাপার দুরন্ত কার্লিং শটে ব্যবধান কমায় মোহনবাগান, তবুও শেষ পর্যন্ত জয় ধরা দেয় লাল-হলুদের হাতেই।
তবে এই ম্যাচে বিতর্কের অভাব ছিল না। বিশেষ করে ডায়ামান্টাকোসের দ্বিতীয় গোলের আগে দেওয়া পেনাল্টি সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষুব্ধ মোহনবাগান সমর্থকরা। অন্যদিকে, ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজো ম্যাচ শেষে জানান, “আমরা আবেগকে নিয়ন্ত্রণে রেখে শুধুই ফুটবলে মনোযোগ দিয়েছি।”
অন্যদিকে, মোহনবাগান কোচ হোসে মোলিনা বারবার খেলোয়াড়দের চোট সমস্যা নিয়ে অসুবিধার মুখে পড়েন। ডার্বি হারের চাপের সঙ্গে সঙ্গে কামিংসের কাণ্ড দলকে আরও আরও বিতর্কে ফেলেছে।
এই জয়ের ফলে ইস্টবেঙ্গল শুধু সেমিফাইনালেই পৌঁছল না, পাশাপাশি মোহনবাগানের বিরুদ্ধে টানা চার ম্যাচের পরাজয়ের হতাশাও মুছে দিল। এবার তাদের প্রতিপক্ষ ডায়মন্ড হারবার এফসি—যারা চমকে দিয়ে জামশেদপুর এফসিকে হারিয়ে শেষ চারে উঠেছে।