Cyclone Montha: বঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টি, কবে মিলবে স্বস্তি? জেনে নিন আবহাওয়ার খুঁটিনাটি

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২০:১৫: ঘূর্ণিঝড় ‘মান্থা’ শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হলেও এখনও তার প্রভাব রয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে আরও অন্তত তিন দিন ভারী বৃষ্টি চলবে, সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ ও ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা। উত্তরবঙ্গেও দুর্যোগ অব্যাহত থাকবে, তবে রবিবার (দক্ষিণ) ও সোমবার (উত্তর) থেকে আবহাওয়া ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর):
বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়ায় ভারী বৃষ্টি। বাকি জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি, সঙ্গে ৩০–৪০ কিমি/ঘণ্টা বেগে ঝোড়ো হাওয়া।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর):
বীরভূম ও মুর্শিদাবাদে ভারী বৃষ্টি, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি। অন্যান্য জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা।
শনিবার (১ নভেম্বর):
সব জেলায় হালকা বৃষ্টি, তবে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদীয়া, পূর্ব মেদিনীপুরে ঝোড়ো হাওয়া ও বজ্রবিদ্যুৎ হতে পারে।
রবিবার (২ নভেম্বর):
আবহাওয়া শুকনো হওয়ার সম্ভাবনা, দিনের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়বে।
উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি
বুধবার:
দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, মালদহ, দুই দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টি।
বৃহস্পতিবার:
দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা।
শুক্রবার:
আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে ভারী বৃষ্টি।
সোমবার (৩ নভেম্বর):
আবহাওয়া শুকনো হওয়ার সম্ভাবনা।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উপকূলবর্তী এলাকায় ঘণ্টায় ৩৫–৪৫ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত।
আলিপুর হাওয়া অফিসের অধিকর্তা হবিবুর রহমান জানিয়েছেন, “আগামী কয়েক দিন আকাশ মেঘলা থাকবে, বৃষ্টিও হতে পারে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কম থাকবে। তিন-চার দিন পর আবার বাড়বে।”