ডাকাতির প্রশিক্ষণ? হাতেকলমে শিক্ষিয়ে ডাকাত বানাচ্ছে বিহারের বিদুপুরে?

একের পর এক ডাকাতিতে বিহারের নাম জড়িয়েছে।

September 11, 2023 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi
ছবি সৌজন্যেঃ Freepik

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: হাতেকলমে ডাকাতি শেখানো হচ্ছে বিহারের বিদুপুরে! তিন ধাপে দেওয়া হচ্ছে ডাকাতির প্রশিক্ষণ, প্রথমে থিওরি, তারপর ফুটেজ দেখিয়ে ক্লাস, তারপর অপারেশনে অংশগ্রহণের সুবর্ণ সুযোগ। প্রশিক্ষণের জন্য নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলও রয়েছে। তবে একমাত্র গ্যাং মেম্বাররাই তা সাবস্ক্রাইব করতে পারে।

একের পর এক ডাকাতিতে বিহারের নাম জড়িয়েছে। দুষ্কৃতীদের কেউ কেউ বৈশালী, কেউ ছাপরার ছেলে। প্রতিটি ডাকাতির কৌশল এক, এমন নিখুঁতভাবে ডাকাতি করা হচ্ছে যে ধরা পড়া তো দূরঅস্ত, নাম পর্যন্ত জানা যাচ্ছে না। তদন্ত করতে গিয়েই বৈশালী জেলার বিদুপুরের সন্ধান পেয়েছেন গোয়েন্দারা। জানা গিয়েছে, একাধিক গ্রামে চলছে ডাকাতির প্রশিক্ষণ। এই ক্লাসের হোতার নাম পাপ্পু চৌধুরী। পাপ্পুর ট্রেনিংয়ে তৈরি প্রায় ২৫০ ডাকাত ছড়িয়ে রয়েছে দেশজুড়ে।

তদন্তে জানা গিয়েছে, বাড়তি রোজগারের লোভ দেখিয়ে গ্রামের ছেলেদের দলে টেনে আনে পাপ্পুর লোকজন। তারপর নিয়ে আসা হয় প্রশিক্ষণে। ছোটখাট অপরাধ করে কেউ জেলে গেলে, তাকেও টার্গেট করা হয়। জামিন করিয়ে নিয়ে আসা হয় বিদুপুরে। তারপর শুরু হয় প্রশিক্ষণ। কোন ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করতে হবে, কোথায় পজিশন নিতে হবে, মোবাইল ছাড়া একে অপরের সঙ্গে কী উপায়ে যোগাযোগ রাখা যাবে, থিওরি সেশনে সব শেখানো হয়। প্রশিক্ষণের মাধ্যম হল ব্ল্যাকবোর্ড ও প্রজেক্টার। সোনার দোকানে কোথায় ভল্ট রাখা থাকে, তা ভাঙতে হয় কী করে, কীভাবে পালাতে হবে, ছবি দেখিয়ে প্রশিক্ষণ চলে। বিভিন্ন জায়গায় ডাকাতির সময় দলের কোনও একজন সেই অপারেশনের ছবি ক্যামেরাবন্দি করে, এমনটাই নির্দেশ থাকে পাপ্পুর। সেই ছবি, ভিডিও কাঁটাছেড়া করেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ভুল-ত্রুটি হয়েছে কি না, ছাত্রদের তা নিজেই বুঝিয়ে দেয় পাপ্পু। মাস দুয়েক ট্রেনিংয়ের পর অপারেশনে পাঠানো। প্রথম প্রথম বাইরে বা ভিতরে অস্ত্র নিয়ে পাহারা দেওয়ার কাজ দেওয়া হয়। তারপর অভিজ্ঞতা বাড়লে ভল্ট ভাঙা বা সোনা লুটের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen