ভারতে একদিনে প্রায় ৩৩ শতাংশ বাড়ল দৈনিক করোনা সংক্রমণ

দেশের ২০টি জেলায় থাবা বসিয়েছে এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট।

January 3, 2022 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে দেশের কোভিড গ্রাফ। ভয়াবহ সংক্রমণ পরিস্থিতি। ফের দৈনিক কোভিড সংক্রমণে লম্বা লাফ। একদিনে প্রায় ৩৩ শতাংশ বাড়ল দৈনিক করোনা সংক্রমণ। রেড অ্যালার্টের পথে হাঁটছে রাজধানী। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে New Covid Variant Omicron-ও।

সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বুলেটিন জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ হাজার ৭৫০ জন। একদিনে দেশে মৃত্যু হয়েছে ১২৩ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১০,৮৪৬ জন। এই মুহূর্তে দেশে অ্যাক্টিভ করোনা কেস এক লাখ ছাপিয়ে গিয়েছে। এদিনের বুলেটিন অনুযায়ী বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৪৫ হাজার ৫৮২ জন।

অন্যদিকে, আতঙ্ক বাড়াচ্ছে ওমিক্রনও। দেশের ২০টি জেলায় থাবা বসিয়েছে এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট। আক্রান্ত ১৭০০। এর মধ্যে Omicron সংক্রমণে শীর্ষে মহারাষ্ট্র। সেখানে আক্রান্ত ৫১০ জন। দ্বিতীয় দিল্লি। সেখানে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫১।

গত ২৬ ডিসেম্বর থেকেই আচমকা কোভিডের বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে গোটা দেশে। বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি, উৎসবের মরশুমে বেলাগাম মনোভাবের জেরেই কোভিড গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। বড়দিন এবং নিউ ইয়ার ইভে শারীরিক দূরত্ববিধি, মাস্ক পরা কিংবা বারবার হাত ধোয়ার মতো অভ্যাসগুলিকে কার্যত ভুলেই গিয়েছিল সাধারণ মানুষ। রাজ্য তথা দেশে একই চিত্র দেখা গিয়েছে।

অন্যদিকে, রাজ্যে গত একসপ্তাহে চারগুণ বেড়েছে কোভিড সংক্রমণ। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের রবিবারের বুলেটিন জানাচ্ছে, একদিনে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬১৫৩ জন। যা গতদিনের তুলনায় প্রায় দু’হাজার বেশি। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের এবং সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৪০৭ জন। এই মুহূর্তে রাজ্যে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৩,৭৩৮। বেড়েছে পজিটিভিটি রেটও। রাজ্যের বর্তমান পজিটিভিটি রেট ১৫.৯৩ শতাংশ।

Omicron আতঙ্কের মাঝে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা। এই পরিস্থিতিতে নয়া গাইডলাইন জারি করল কেন্দ্র। কোভিডের বাড়বাড়ন্তের মধ্যেই রাজ্যগুলিকে একাধিক অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। এছাড়াও হাসপাতালে ICU বেড বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ এদিন রাজ্যগুলির মুখ্য সচিবদের চিঠি দিয়ে ওই নির্দেশ দিয়েছেন। গ্রামীণ এলাকার স্বাস্থ্য পরিকাঠামো মজবুত করার কথা বলা হয়েছে ওই চিঠিতে। এছাড়াও হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে শিশু বিভাগ বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আবারও হোটেল রুমকে আইসলেশন ওয়ার্ড বানানোর কথা বলা হয়েছে। যাঁদের দেহে করোনার মৃদু উপসর্গ রয়েছে, তাঁদের ওই আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি, প্রতিটি হাসপাতালে যথেষ্ট পরিমাণ অক্সিজেন রয়েছে কিনা, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen