চটুল আইটেম ডান্স-বলিউডি হিন্দি গানে নাটক মঞ্চস্থ হল রাজভবনে! নিন্দার ঝড় নানা মহলে
বোসের লেখা নাটকে চটুল হিন্দি গানের ব্যবহার নিয়ে চরমে বিতর্ক! নাটকের মধ্যেই বেজে ওঠে হিন্দি ছবির গান ‘ওয়ান টু কা ফোর, ফোর টু কা ওয়ান।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৫:৩৭: রাজভবনের অন্দরে চটুল আইটেম ডান্স-বলিউডি হিন্দি গান! শনিবার সন্ধ্যায় এভাবেই মঞ্চস্থ হল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের লেখা নাটক। যা নিয়ে নিন্দার ঝড় শহরের নানা মহলে। রাজভবনের গরিমা ও মর্যাদার প্রতি অবমাননাকর বলে তোপ দেগেছেন সুশীল নাগরিক সমাজ।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজভবনের ঐতিহ্যবাহী সেমিনার কক্ষে অভিনীত হয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের লেখা ‘চৌরঙ্গিস ফ্লাওয়ার’ নাটকটি। নাটকের প্রযোজক হিসাবে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের অধীনস্থ ইজেডসিসি-র পূর্বাঞ্চলীয় শাখার নাম থাকলেও অভিনয়ে ছিলেন রাজ্য বিজেপির অন্যতম নেত্রী শর্বরী মুখোপাধ্যায়ের মতো বিজেপি মতাদর্শের অনুগামীরা। দর্শকাসনেও পদ্ম শিবিরের ঘনিষ্ঠ জনদের সংখ্যাধিক্য ছিল।
বোসের লেখা নাটকে চটুল হিন্দি ও বাংলা গানের ব্যবহার নিয়ে চরমে বিতর্ক! হঠাৎই নাটকের মধ্যেই বেজে ওঠে ‘আমি কলকাতার রসগোল্লা’। হিন্দি ছবির গান ‘ওয়ান টু কা ফোর, ফোর টু কা ওয়ান, মাই নেম ইজ লখন….’। এই নিয়েই শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। নাটকের কিছু দৃশ্য এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টও করা হয়েছে। এতে রাজভবনের গরিমা ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
রাজভবনে নাটক বা কোনও শিল্পচর্চায় আপত্তির কোনও অবকাশ নেই। তবে নাট্যপ্রেমীদের বক্তব্য, রাজভবনে মতো জায়গায় নান্দনিক শিল্প বা লোকশিল্পের চর্চা হওয়া উচিত। নাটকে হিন্দি চটুল গান, উত্তেজক আইটেম ডান্স, মদ্যপানের মতো রসদে ভরপুর ওই দৃশ্যগুলি রাজভবনের আভিজাত্যের পক্ষে ক্ষতিকারক বলেই মন্তব্য তাঁদের।