ফিরল দুশো বছরের স্মৃতি, এবার বোটানিক্যাল গার্ডেনে ফলবে দার্জিলিঙের চা
ফেব্রুয়ারি মাসে লোয়ার দার্জিলিং ও ডুয়ার্সের কিছু এলাকা থেকে চা গাছের চারাগুলি আনা হয়। টিবি ২৫, টিবি ২৬ সহ কয়েকটি প্রজাতির চা গাছ লাগানো হয়েছে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ব্রিটিশরা ১৮২৩ সালে শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনে পরীক্ষামূলকভাবে চা উৎপাদন শুরু করেছিল। সাফল্যও এসেছিল। রক্ষণাবেক্ষণের অভাব সহ একাধিক কারণে সেই চা বাগান নষ্ট হয়ে যায়। প্রথম চা উৎপাদনের সেই স্মৃতি ফিরিয়ে আসছে বোটানিক্যাল গার্ডেনে। বোটানিক্যাল গার্ডেনে লোয়ার দার্জিলিং থেকে নিয়ে আসা চা গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে লোয়ার দার্জিলিং ও ডুয়ার্সের কিছু এলাকা থেকে চা গাছের চারাগুলি আনা হয়। টিবি ২৫, টিবি ২৬ সহ কয়েকটি প্রজাতির চা গাছ লাগানো হয়েছে।
চা গাছ বেড়ে ওঠার স্বাভাবিক পরিবেশ, আবহাওয়া এবং মাটি; কোনওটাই নেই হাওড়ায়। প্রথমে চা চাষের উপযুক্ত মাটি তৈরির কাজ শুরু করে বোটানিক্যাল গার্ডেন কর্তৃপক্ষ। মাটি পরীক্ষা করা হয়। এরপর জায়গা চিহ্নিত করা হয়। জায়গাটি টিলার মতো উঁচু করে অ্যালুমিনিয়াম সালফেট ও অ্যালুমিনিয়াম প্যারালাইট দিয়ে মাটিকে পটজল মৃত্তিকার সমমানের করে তোলা হয়। তারপর রোপণ করা হয় চা গাছের চারাগুলি। চা বাগানে জল দেওয়ার জন্য বসানো হয় অটো-স্প্রিঙ্কলার। চা বাগানের রক্ষণাবেক্ষণ ও নজরদারির জন্য পৃথক বিভাগ তৈরি করে উদ্যান কর্তৃপক্ষ।
বোটানিক্যাল গার্ডেন কর্তৃপক্ষ আশাবাদী। এখানেই ব্রিটিশরা প্রথম চা উৎপাদন শুরু করেছিল। সেই স্মৃতিকে ফিরিয়ে আনতে চাইছেন তারা। চা উৎপাদনের জন্য তৈরি করা উঁচু ঢিপির পাশেই তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী ছোট জলাশয়। বৃষ্টি পড়লে চা গাছের গোড়ায় যাতে জল না দাঁড়ায়, তার জন্যই এই ব্যবস্থা। প্রায় তিন হাজার প্রজাতির ৩০ হাজার বিভিন্ন ধরনের গাছ চাক্ষুষ করতে পারবে সাধারণ মানুষ।