Elephant Attack: উত্তরে বাড়ছে হাতির হামলায় মৃত্যু, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ব্যবস্থা বনদপ্তরের

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২০:৫১: উত্তরবঙ্গের জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় বাড়ছে হাতির হামলায় (Elephant Attack) মৃত্যু। চলতি বছরের মার্চ থেকে শুরু হওয়া এই সংঘাত ইতিমধ্যেই প্রাণ কেড়েছে প্রায় ৪০ জনের। শুধু অক্টোবর মাসেই অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবার সৌরচালিত সিসি ক্যামেরা (Solar-powered CCTV camera) বসানো হয়েছে এবং হাতির উপস্থিতি টের পেলেই বাজবে সতর্কতামূলক সাইরেন (Siren)। পাশাপাশি খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম (Control Room), বাড়ানো হয়েছে মাইকিং ও নজরদারি।
বনদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) ও জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় সংঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৫ জন। বৈকুন্ঠপুর ও জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা বেশি। মে মাসে সবচেয়ে বেশি হামলার ঘটনা ঘটেছে। ৩১ মে ফালাকাটা ব্লকের কুঞ্জনগরে একই পরিবারের এক বৃদ্ধা, তাঁর ছেলে ও সদ্যোজাত শিশুকন্যা হাতির হানায় প্রাণ হারান।
৪ অক্টোবরের হড়পা বানের পর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। জঙ্গলের তৃণভূমি পলি ও ডলোমাইটে ঢেকে যাওয়ায় এবং নদীনালার জল দূষিত হয়ে যাওয়ায় হাতি, গন্ডার, বাইসনরা লোকালয়মুখী হতে শুরু করে। নেপাল সীমান্তের মেচি নদী থেকে অসম সীমানা সংলগ্ন সংকোশ নদী পর্যন্ত একই রকম পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার ৭৮টি হাতির একটি দল শিলিগুড়ি (Siliguri) মহকুমার টুকরিয়াঝার জঙ্গল থেকে নকশালবাড়ি চা বাগানে ঢুকে পড়ে। আতঙ্ক ছড়ায় শ্রমিক মহল্লায়। বনকর্মীরা বহু চেষ্টা করে দলটিকে ফের জঙ্গলে পাঠান। তবে সব সময় তা সম্ভব হচ্ছে না। অক্টোবরের প্রথম চারদিনেই ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২২ অক্টোবর মাদারিহাটে একটি দাঁতাল হাতির হামলায় এক শিশু ও তার মা-সহ তিনজনের মৃত্যু হয়। ৩১ অক্টোবর মাদারিহাটের মেঘনাদ সাহা নগরে এক মহিলাকে আছড়ে মারে হাতি। এরপর মধ্য ছেকামারিতে এক প্রবীণ এবং নাগরাকাটার নিউখুনিয়া বস্তিতে আরও একজনের মৃত্যু হয়।
জলদাপাড়ার ডিএফও প্রবীণ কাসোয়ান জানিয়েছেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে ২৯টি দল মাঠে রয়েছে। বসানো হয়েছে ৩০টি সৌর সিসি ক্যামেরা। তরাই অঞ্চলেও একই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাগডোগরার রেঞ্জার সৌম্যব্রত সাধু জানিয়েছেন, জঙ্গল লাগোয়া বনবস্তিতে সতর্কতা প্রচার চলছে। পর্যটকদের জঙ্গল সাফারির সময় গাইড ও জিপসিচালকদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। হাতি দেখা গেলে দ্রুত এলাকা ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।