প্রবীণদের স্নেহাশীর্বাদ আর নবীনদের ভালবাসায় ভেসে যাচ্ছে দেবাংশুর প্রচার
সুসজ্জিত টোটোয় দাঁড়িয়ে দেবাংশু, সঙ্গে স্থানীয় কাউন্সিলার চঞ্চল খাঁড়া, প্রাক্তন কাউন্সিলার চন্দন প্রধান, তৃপ্তি বর্মণ খাঁড়া-সহ অন্যান্যরা মিছিলে নেতৃত্ব দেন।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: প্রার্থী ঘোষণার পর গত ১১মার্চ তমলুকে আসেন দেবাংশু। কেটে গিয়েছে নয় সপ্তাহ। সাতটি বিধানসভার প্রায় সব গ্রাম পঞ্চায়েতে পৌঁছেছেন তৃণমূল প্রার্থী। সময় আর মাত্র চারদিন। ষষ্ঠ দফায় ২৫মে তমলুক লোকসভার নির্বাচন। এখনও ছুটে যাচ্ছেন তরুণ তৃণমূল প্রার্থী। রবিবার সকালে তিনি শুরু করেন প্রচার। তমলুক শহরে ধারিন্দা রেলগেটের কাছে একদল বালিকা লক্ষ্মীর সাজে সুসজ্জিত হয়ে দাঁড়িয়ে, সঙ্গে বড় লক্ষ্মীর ভাঁড়, পরনে লালপাড় সাদা শাড়ি। তমলুক শহরের ১০টি ওয়ার্ডে ভোটপ্রচার সারলেন দেবাংশু (Debangshu Bhattacharya)। সুসজ্জিত টোটোয় দাঁড়িয়ে দেবাংশু, সঙ্গে স্থানীয় কাউন্সিলার চঞ্চল খাঁড়া, প্রাক্তন কাউন্সিলার চন্দন প্রধান, তৃপ্তি বর্মণ খাঁড়া-সহ অন্যান্যরা মিছিলে নেতৃত্ব দেন।
১৬নম্বর ওয়ার্ডে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে প্রার্থীকে স্বাগত জানান কাউন্সিলার দেবশ্রী মাইতি। তৃণমূল প্রার্থী ডহরপুরে জনসংযোগ সেরে শীতলা মায়ের মন্দিরে গিয়ে আশীর্বাদ নেন। মন্দিরের সামনে তখন ভিড় জমেছে। মহিলারা উলুধ্বনি দিয়ে প্রার্থীকে অভ্যর্থনা জানান। মন্দিরে চলে আসেন ৮২বছরের সুমিত্রা পাত্র। তিনি বলেন, তাঁর মতো অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের দেওয়া পেনশন প্রকল্প পেয়ে ভাল আছেন। তাই প্রার্থীকে আশীর্বাদ করতে এসেছেন।
প্রচারের গাড়ি ১১নম্বর ওয়ার্ডে ঢুকতেই চিত্ত মাইতি, পুরসভার চেয়ারম্যান দীপেন্দ্রনারায়ণ রায় প্রমুখ র্যালিতে যোগ দেন। শঙ্করআড়া ব্রিজের কাছে মহিলারা প্রার্থীকে স্বাগত জানান। ৬২ বছরের বেলাদেবীর হাতে ফুলের স্তবক তুলে দেন দেবাংশু। ব্যান্ড বাজিয়ে স্লোগান দিতে দিতে দেবাংশুর র্যালি একের পর এক ওয়ার্ড পরিক্রমা করে। রাস্তার দু’ধারে দাঁড়ানো মেয়েরা ফুল ছিটিয়ে প্রার্থীকে স্বাগত জানান। দেবাংশু চেয়ে দেন আশীর্বাদ।