ঠাকুরঘর কী ভাবে সাজালে আশীর্বাদ ঝরে ঝরে পড়বে?

বাস্তু মেনে বাড়ি তো সাজাচ্ছেন, আপনার ঠাকুরঘরটিকেও বাস্তু‌শাস্ত্র মেনেই সাজাতে হবে। নাহলে দেবস্থান থেকে যে শুভ প্রভাব বাড়ির বাসিন্দাদের ওপর পড়ার কথা, তা থেকে বঞ্চিত হবে সবাই। এর জন্য অবশ্য খুব একটা অতিরিক্ত খরচ হবে না। রইল ঠাকুরঘর সাজানোর বাস্তু টিপস।

April 19, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

বাস্তু মেনে বাড়ি তো সাজাচ্ছেন, আপনার ঠাকুরঘরটিকেও বাস্তু‌শাস্ত্র মেনেই সাজাতে হবে। নাহলে দেবস্থান থেকে যে শুভ প্রভাব বাড়ির বাসিন্দাদের ওপর পড়ার কথা, তা থেকে বঞ্চিত হবে সবাই। এর জন্য অবশ্য খুব একটা অতিরিক্ত খরচ হবে না। রইল ঠাকুরঘর সাজানোর বাস্তু টিপস।

প্রাকৃতিক জিনিসের কোনও বিকল্প হয় না৷ তাই ঠাকুরঘরকে সাজিয়ে ফেলুন টাটকা ফুল দিয়ে৷ ঠাকুরঘরে প্রবেশের দরজার মাথায়, সিংহাসনে হলুদ-কমলা রঙের গাঁদা ফুল, রজনীগন্ধা, গোলাপ ও জুঁই ফুলের মালায় লম্বালম্বি বা রাউন্ড শেপের ডিজাইনে সাজাতে পারেন৷ টাটকা ফুলের মৃদু সুবাস ঘরের পবিত্রতা বাড়িয়ে দেবে বহুগুণ৷ জরির মালা, সোলার সাজসজ্জার বদলে টাটকা ফুল দিয়ে ঠাকুরঘর, ঠাকুরের আসন সাজানোই বাস্তুমতে ভালো।

ঠাকুরঘরটিকেও বাস্তু‌শাস্ত্র মেনেই সাজাতে হবে।

আলপনার সাজও বাস্তুমত ঠাকুরঘরের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। আপনার কাঁচা-পাকা হাতের আলপনায় ঠাকুর ঘরের মেঝেকে সাজিয়ে নিন আপনার মনের মত করে৷ নয়তো আজকাল নানা ধরনের আলপনা সম্বলিত রেডিমেট স্টিকার বাজারে মেলে৷ সে সব দিয়ে ঠাকুরঘর সাজানো সহজে হয় ঠিকই, কিন্তু তাতে পুজার্চনার মঙ্গলকর প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে না।

জায়গা কম থাকলে ঠাকুরের বেদিতে সব মূর্তির স্থান না-ই হতে পারে৷ তবে উপায়! চিন্তার কোনও কারণ নেই৷ সিংহাসনের সোজাসুজি দেওয়ালে প্রয়োজন মতো কাঠের খোপ বানিয়ে আপনার পছন্দের দেব-দেবীকে স্থান দিন৷

ঠাকুরের সিংহাসনের দুপাশে বড় দুটো নকশা করা পিতলের প্রদীপ রাখা মঙ্গলজনক৷ ঠাকুর ঘরের ঠিক মাঝের সিলিং-এ ঘণ্টা ঝোলালে ঘরে মন্দিরের পবিত্রতা অনুভূত হতে পারে৷ আধ্যাত্মিক উপাখ্যান সম্বলিত দেব-দেবীর মূর্তি বা লোকশিল্পীদের আঁকা পটচিত্রেও সাজিয়ে তুলতে পারেন আপনার ঠাকুর ঘরকে৷ সাজ-সজ্জা যেমনই হোক না কেন, ঠাকুরঘরে সব সময় ছিমছাম এবং শান্ত স্নিগ্ধ পরিবেশ বজায় রাখা উচিত৷

মাটির প্রদীপের প্রাকৃতিক আলোয় সন্ধেবেলা ঠাকুর ঘর সাজিয়ে তুলুন ৷ দূরে রাখুন ডিজিটাল, এলইডি, টুনি লাইট৷ এখন নানারকম নানারকম সুগন্ধি মোমবাতি পাওয়া যায়৷ ধুপ-ধুনোর পাশাপাশি নানা শেপের, নানা রঙের মোমবাতির নরম গন্ধে ঠাকুর ঘরে প্রতিনিয়ত অনুভূত হোক আধ্যাত্মিকতার তরঙ্গ৷

বাস্তুমতে ঈশান কোণে কিম্বা বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকই ঠাকুর ঘরের জন্য আদর্শ৷ ফ্ল্যাট হোক কিম্বা বাড়িতে, আলাদা ঠাকুর ঘরের জায়গা না থাকলে বাড়ির মধ্যে যে ঘরটা উত্তর-পূর্ব দিকে আছে সেই ঘরটাই উপযুক্ত ঠাকুরের আসনের জন্য৷ সবাই শান্তির খোঁজেই ঠাকুর ঘরে যান৷ সে কারনেই ঘরের রং নির্বাচনেও সতর্কতার প্রয়োজন৷ যাতে ঘরে স্নিগ্ধতা ও পবিত্রতা পুরো মাত্রায় বজায় থাকে৷ সাদা, হালকা হলুদ, হালকা লাল এই ধরনের রংই ঠাকুরঘরের জন্য উপযুক্ত৷

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen