Delhi blast: উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরকই কাঁপিয়ে দিল জম্মু-কাশ্মীরের নওগাম থানাকে, মৃত ৯
Authored By:

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ০৯:৪৫: দিল্লির বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তে দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্ত করতে গিয়ে ফরিদাবাদ থেকে বিপুল পরিমাণ অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বাজেয়াপ্ত হওয়া বিস্ফোরকই কাঁপিয়ে দিল জম্মু-কাশ্মীরের নওগাম থানাকে। করেছিল কাশ্মীর পুলিশ। উদ্ধার হওয়া সেই বিস্ফোরক যে থানায় রাখা হয়েছিল, দুর্ভাগ্যবশত সেখানেই ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই ছ’জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। কয়েকটি সংবাদমাধ্যম দাবি করছে, মৃতের সংখ্যা ন’জন। আহত অন্তত ২৭ জন। আহতদের মধ্যে আরও পাঁচ জনের অবস্থা সঙ্কটজনক।
পুলিশ সূত্রের খবর, দিল্লির বিস্ফোরণের তদন্তে ফরিদাবাদ থেকে উদ্ধার করা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট নিয়ে শুক্রবার রাতে থানায় পরীক্ষা চালাচ্ছিলেন ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির একটি বিশেষ দল। সেই সময়ই বিস্ফোরণ। আতঙ্কে চারদিক ছুটোছুটি শুরু হয়ে যায় থানার ভিতরেই। আহত পুলিশকর্মীদের দ্রুত সেনাবাহিনীর ৯২ বেস হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে সেখানেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন একাধিক পুলিশ কর্মী।
থানার অন্দরভাগে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে বিস্ফোরক সামগ্রী, ভেঙে পড়ে দেওয়ালের অংশ। এরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছন ঊর্ধ্বতন পুলিশ আধিকারিকেরা। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলা হয় নিরাপত্তার কারণে। দিল্লির বিস্ফোরণের সঙ্গে যে জঙ্গি-যোগ পাওয়া গিয়েছে, নওগাম থানার পুলিশই তা প্রথম খুঁজে বার করে। শ্রীনগরের রাস্তায় এক চিকিৎসককে জইশ-ই-মহম্মদের সমর্থনে পোস্টার সাঁটতে দেখা গিয়েছিল। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ঘেঁটে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। চিকিৎসক আদিলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ফরিদাবাদে মজুত বিস্ফোরকের সন্ধান পান তদন্তকারীরা।
নওগামের রাস্তায় জইশ-ই-মহম্মদের পোস্টারই ছিল গোটা চক্র উন্মোচনের শুরু। সেই সূত্র ধরেই উঠে আসে হরিয়ানার ফরিদাবাদের ‘টেরর মডিউল’। সোমবার ফরিদাবাদের অভিযানে জইশ এবং আনসার গজওয়াতুল হিন্দের বড় চক্র গুঁড়িয়ে দেয় নিরাপত্তা বাহিনী।
ধরা পড়ে পুলওয়ামার চিকিৎসক মুজ়াম্মিল শাকিল ওরফে মুসাইব-সহ কয়েক জন। তদন্তকারীদের মতে, এরা সকলেই উত্তর ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে সক্রিয় ‘হোয়াইট কলার জঙ্গি নেটওয়ার্ক’-এর সদস্য—যারা আর্থিক সংগ্রহ, রিক্রুটমেন্ট এবং সন্ত্রাস-পরিকল্পনার মুখ্য দায়িত্বে ছিল।