অটুট হোক সম্প্রীতির বাঁধন, গোটা দেশে তুঙ্গে বাংলায় তৈরি রাখির চাহিদা
দেশে দিকে দিকে বাংলাভাষীদের উপর আক্রমণ ও হেনস্তার অভিযোগ উঠছে, তখনই ভ্রাতৃত্বের বার্তা দিচ্ছে রবি ঠাকুর, নেতাজি সুভাষের বাংলা।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১২:৪০: আগামী ৯ আগস্ট রাখিপূর্ণিমা। বাংলায় তৈরি রাখি পাড়ি দিচ্ছে দিল্লি, মুম্বই, গুজরাত, ওড়িশা সহ দেশের নানান প্রান্তে। বাংলার রাখি প্রস্তুতকারকদের একটাই কথা, দেশ এক। দেশে সব ভাষা, ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায়ের মানুষের বন্ধনটা অটুট থাকুক। দেশে দিকে দিকে বাংলাভাষীদের উপর আক্রমণ ও হেনস্তার অভিযোগ উঠছে, তখনই ভ্রাতৃত্বের বার্তা দিচ্ছে রবি ঠাকুর, নেতাজি সুভাষের বাংলা। এই এক কারণে বহুত্ববাদের বাংলা বরাবরই অনন্য! সম্প্রীতি, ঐক্য হল বাংলার চিরন্তন পরম্পরা।
দেশেজুড়ে যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালিত হবে রাখি উৎসব। বর্ধমানের কলনার রাখি ক্লাস্টারের তৈরি রাখি দেশের নানা প্রান্তে পৌঁছে গিয়েছে। কোনও রাখি রাধা-কৃষ্ণের মুখ দেওয়া, কোনওটা ময়ূরের! পুঁতি, ফুল, মালা দিয়ে কারুকার্য করা বিভিন্ন ধরনের রাখিও নজর কেড়েছে ভিন রাজ্যের ব্যবসায়ীদের। ধান, বেল কাঠ, চালের নকশাতেও তৈরি হয়েছে রাখি। বাংলায় তৈরি প্রায় এক লক্ষ রাখি গিয়েছে বিশাখাপত্তম। ওড়িশায় গিয়েছে ৩৫ হাজার। গুজরাতে গিয়েছে দেড় লক্ষ। দিল্লিতে ৭০ হাজার। সর্বাধিক রাখি গিয়েছে মুম্বই। সংখ্যাটা দু’লক্ষের বেশি। হরিয়ানায় গিয়েছে ৫০ হাজার। কালনার রাখি ক্লাস্টারের কর্তাদের মতে, বাংলার তৈরি রাখির কদর বাড়ছে। দেশের একাধিক রাজ্য থেকে বাংলা কাছে রাখি তৈরি করার বরাত আসছে। এত চাহিদা যে রীতিমতো সময়ের অভাবে ভিন রাজ্যের ব্যবসায়ী-ক্রেতাকে ফিরিয়ে দিচ্ছেন বাংলার রাখি প্রস্তুতকারকেরা।
বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করাই হল রাখি উৎসবের আদত উদ্দেশ। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে বাংলাভাষীদের উপর আক্রমণের অভিযোগ সামনে আসছে। এমন অবস্থায় দাঁড়িয়ে বাংলার রাখি প্রস্তুতকারকেরা চাইছেন বন্ধন অটুট থাকুক। সব সম্প্রদায়ের মানুষে মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও শক্তিশালী হোক। রাখিবন্ধনের দিনটিকে ‘সংস্কৃতি দিবস’ হিসেবে পালন করে রাজ্য সরকার। রাজ্যের তরফে ৬ লক্ষ ৬০ হাজার রাখি তৈরি করা হয়েছে। নীল-সাদা রাখিতে রয়েছে রাজ্য সরকারের লোগো। এই রাখির ডিজাইন তৈরি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের যুব কল্যাণ দপ্তরের মাধ্যমে জেলায় জেলায় রাখি পৌঁছতে শুরু করেছে।