জন্মদিনে আরাম নয়, নিজের ছবির সঙ্গেই দিন কাটালেন দেব
Authored By:

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৭:৫৩: ২৫শে ডিসেম্বর—খ্রিস্টমাসের দিনে দ্বিগুণ ব্যস্ততা টলিউডের তারকা দেবের। জন্মদিনের উদ্যাপন নয়, বরং সকাল থেকেই কাজের মধ্যে দিন শুরু তাঁর। কারণ, একই দিনে মুক্তি পেয়েছে বহু প্রতীক্ষিত ছবি ‘প্রজাপতি ২’। ফলে বাড়িতে নয়, দেবকে পেতে হলে যেতে হয়েছে সরাসরি প্রেক্ষাগৃহে—সিনেমার মধ্যেই জন্মদিন কাটালেন তিনি।
তারকাদের বয়স বাড়ে না—এমনই প্রচলিত কথা – পুরোপুরি মানেন কি দেব? তিনি অবশ্য বয়সের প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়ে বলেন, জন্মদিন নিয়ে আগের মতো উচ্ছ্বাস এখন আর নেই। ছোটবেলার সেই উত্তেজনা কমে গেলেও, কাজের মাঝে কাটানো জন্মদিনটাই তাঁর কাছে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।
দেবের কথায় -“জন্মদিনে নতুন ছবি মুক্তি পেল—এটা অবশ্যই আনন্দের। তবে এটাকে সেরা জন্মদিন বলতে পারব না। আমার ছবির প্রায় সব শো হাউসফুল—এর থেকে বড় উপহার আর কী হতে পারে! সকাল থেকে মোবাইলে চোখ রেখেছি, কারণ আজ সিনেমাই প্রধান।”
কিন্তু আনন্দের মাঝেও লড়াই চলছেই। দুই দশক ইন্ডাস্ট্রিতে থাকার পরও তাঁকে এখনও বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে বলতে হয়—“আমাকে শো দিন।”
দেব বলেন – “এখনও মনে হয় প্রতিটা দিন যুদ্ধ করছি। যারা দু’দিন আগেও বন্ধু ছিল, তাদের বোঝাতে হচ্ছে যে আমার ছবিটাও ভাল। লড়াই তো সহজ ছিল না।”
ব্যস্ততা যতই থাকুক, জন্মদিনের কিছু নিয়ম দেব আজও মানেন। সকালে মায়ের হাতে পায়েস খেয়ে দিনের শুভসূচনা করেছেন। আর তাঁর অফিসে সারাদিন ঢুকেছে অসংখ্য কেক—প্রশংসা, শুভেচ্ছা আর মানুষের উন্মাদনায় ভরা।জেলা সফরে গেলে দেব নাকি সবচেয়ে বেশি অনুভব করেন মানুষের ভালোবাসার উচ্ছ্বাস। সেই আবেগই তাঁকে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি দেয়।
“জীবনটাই লড়াই”— দেবের এই বাক্য যেন তাঁর ইন্ডাস্ট্রিতে থাকা দুই দশকের পথচলার সারসংক্ষেপ।
জন্মদিন মানেই অনেকের কাছে বিশ্রাম, উদ্যাপন আর নিজের জন্য একটু সময়। কিন্তু দেবের জীবনে জন্মদিন মানে নতুন লড়াইয়ের শুরু, নিজের কাজের প্রতি আরও গভীর অঙ্গীকার। প্রেক্ষাগৃহে দর্শকের ভিড়, হাউসফুল বোর্ড, মায়ের আশীর্বাদ—এই সবটাই যেন তাঁকে মনে করিয়ে দেয়, তিনি শুধু একজন অভিনেতা নন, মানুষের আবেগের অংশ।