টাইমস স্কোয়ারে আলো ছড়াল ‘দেবী চৌধুরানী’– ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়
ভারতের স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে ইতিহাস গড়ল বাংলা সিনেমা। প্রথমবারের মতো নিউ ইয়র্কের বিখ্যাত টাইমস স্কোয়ারের বিশাল পর্দায় ভেসে উঠল বাংলা চলচ্চিত্র দেবী চৌধুরানী-এর টিজার।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১২:৩০: ভারতের স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে ইতিহাস গড়ল বাংলা সিনেমা। প্রথমবারের মতো নিউ ইয়র্কের বিখ্যাত টাইমস স্কোয়ারের বিশাল পর্দায় ভেসে উঠল বাংলা চলচ্চিত্র দেবী চৌধুরানী-এর টিজার। ১৫ আগস্ট এই ছবির টিজার বিশ্বদরবারে প্রদর্শিত হলো, যা নিঃসন্দেহে ভারতীয় সিনেমার এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত।
ব্যাঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অমর সৃষ্টি অবলম্বনে নির্মিত এই মহাকাব্যিক চলচ্চিত্রে ভগিনী বিদ্রোহিনী দেবী চৌধুরানীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। বিপ্লবী ভাওয়ানি পাঠকের চরিত্রে রয়েছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ১৩ আগস্ট টিজার মুক্তির পর থেকেই ছবিটি দর্শক মহলে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে এর মনোমুগ্ধকর ভিজ্যুয়াল, শক্তিশালী অভিনয় আর নির্ভীক বিপ্লবী আবহের জন্য।
ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ADited Motion Pictures এবং ব্রিটেন ও ভারতের LOK Arts Collective। বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো—এটি ভারতের প্রথম ফিচার ফিল্ম, যা ভারত ও যুক্তরাজ্যের সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ইন্ডো-ইউকে কো-প্রোডাকশন মর্যাদা পেয়েছে। ভারত সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক, ন্যাশনাল ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (NFDC), ফিল্ম ফ্যাসিলিটেশন অফিস ও Invest India প্রকল্পের সমর্থনও রয়েছে এই ছবির পিছনে।
জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্রর পরিচালনায় গড়ে উঠছে এই ঐতিহাসিক কাহিনি। ছবির সঙ্গীত পরিচালনা করছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সুরকার পণ্ডিত বিক্রম ঘোষ।
প্রযোজক অর্ণব দাশগুপ্ত, অপর্ণা দাশগুপ্ত এবং সৌম্যজিৎ মজুমদার এক যৌথ বিবৃতিতে জানান—“দেবী চৌধুরানী কেবল একটি চলচ্চিত্র নয়, বরং এটি বাংলার মাটি থেকে উঠে আসা ইতিহাস, যা গোটা বিশ্বকে শোনাতে চাই আমরা। স্বাধীনতা দিবসের দিনে টাইমস স্কোয়ারে আমাদের ছবির ঝলক নিঃসন্দেহে এক স্মরণীয় অধ্যায়।”
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন—“আজ আমাদের সবার গর্বের দিন। স্বাধীনতার দিনে টাইমস স্কোয়ারে দেবী চৌধুরানী প্রদর্শিত হওয়া ভারতের চলচ্চিত্র জগতের নতুন ইতিহাস। খুব শিগগিরই বিশ্ববাসী আমাদের এই কাহিনি দেখবে। এটি আমাদের মানুষের সাহস আর আত্মমর্যাদার কাহিনি।”
শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় আরও যোগ করেছেন—“আমরা এমন এক নারীর কথা বলছি, যিনি ইতিহাসের পাতা থেকে প্রায় হারিয়ে গেছেন। স্বাধীনতার দিনে টাইমস স্কোয়ারে তাঁর কাহিনি দেখা নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য গর্বের।”