জগন্নাথ ধামের কপিরাইট নিয়ে তরজায় দীঘা ও পুরী
দীঘার জগন্নাথ মন্দির তৈরী হওয়ার পর থেকেই কোনটি জগন্নাথ ধাম তাই নিয়ে শুরু হয় তর্ক বিতর্ক। পুরীর রাজা গজপতি মহারাজ দিব্যসিংহ দেবের মতে, ইসকন এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পদক্ষেপ, প্রাচীন ঐতিহ্যকে লঙ্ঘন করেছে।
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৩:৩০: আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে কপিরাইট শব্দটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এবার এই কপিরাইট ঢুকে পড়ছে এবার মন্দিরে।
দীঘার জগন্নাথ মন্দির তৈরী হওয়ার পর থেকেই কোনটি জগন্নাথ ধাম তাই নিয়ে শুরু হয় তর্ক বিতর্ক। পুরীর রাজা গজপতি মহারাজ দিব্যসিংহ দেবের মতে, ইসকন এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পদক্ষেপ, প্রাচীন ঐতিহ্যকে লঙ্ঘন করেছে। বছরের নানা সময়ে ইসকন রথযাত্রা এবং স্নানযাত্রা উদযাপন করছে।
দীঘার মন্দিরকে জগন্নাথ ধাম হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছে। এই পদক্ষেপগুলি পবিত্র ধর্মগ্রন্থ এবং প্রাচীন ঐতিহ্যের বিরোধী, যা জগন্নাথ ভক্তদের অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়।তাই ওড়িশা সরকার পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আচার-অনুষ্ঠান ও রীতিনীতির উপর ‘কপিরাইট’ নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।
পুরীর রাজার এই মন্তব্যের উত্তরে ইসকন কলকাতার ভাইস প্রেসিডেন্ট ও দীঘা জগন্নাথ মন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য রাধারমণ দাস সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, “ভারতে বহু সম্প্রদায় রয়েছে। আদালত বলতে পারে না কীভাবে কী পুজো হবে। আমার মনে হয় এইরকমভাবে কপিরাইট দেওয়া সম্ভব নয়। আমি বুঝতে পারছি না কী করতে চাইছেন। কিন্তু ভারতে জগন্নাথ ধামে কপিরাইট সম্ভব নয়। পুরীর মহারাজ শঙ্করাচার্যকে অনুসরণ করেন আমরা গৌড়ীয় বৈষ্ণব, চৈতন্য মহাপ্রভুকে অনুসরণ করি।”
“ধাম নিয়ে এত সমস্যা যখন তাহলে পুরীর গজপতির বাড়ির নাম শান্তি ধাম কীভাবে?” প্রশ্ন তুলেছেন রাধারমণ দাস।
প্রথমে নিমকাঠ নিয়ে আর এখন পুজোর রীতিনীতির কপিরাইট নিয়ে বিতর্ক। এর আগে আমাদের দেশে কোনও দেবদেবীর আচার-অনুষ্ঠানের ওপর কপিরাইট নেওয়া হয়েছে বলে শোনা যায়নি। এখন এই বিতর্কের জল কতদূর গড়ায় সেটাই দেখার।