আজ দীঘায় জগন্নাথদেবের মন্দিরের দ্বারোদঘাটন, বাংলাজুড়ে উৎসবের আমেজ
আজ দীঘায় জগন্নাথদেবের মন্দিরের দ্বারোদঘাটন

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: আজ দীঘায় জগন্নাথদেবের মন্দিরের দ্বারোদঘাটন। ইতিমধ্যে মহাযজ্ঞ সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল থেকে মন্দির চূড়ায় শ্রীচক্রে উড়তে শুরু করেছে পতিত পাবন বানা অর্থাৎ পবিত্র ধ্বজা। এখন প্রতীক্ষা মাহেন্দ্রক্ষণের। আজ, বুধবার দ্বারোদ্ঘাটন ও প্রাণপ্রতিষ্ঠা হবে মহাপ্রভুর। অপেক্ষায় গোটা বাংলা।
পুরোহিতদের মন্ত্রোচ্চারণ ও আচারের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মঙ্গলপুজো। পূজিত হয় ধ্বজা পতিত পাবন বানা। চোল বংশের পুরুষ ছাড়া কারও অধিকার নেই জগন্নাথ মন্দিরের মূল অংশ ভীমানায় ধ্বজা স্থাপনের। পুরী থেকে এসেছিলেন তিনজন ধ্বজাস্থাপক। অজয় নায়েক ও বিভূতি দাসের হাতে ধ্বজা তুলে দেন মমতা। শ্রীচক্রে পতিত পাবন বানা স্থাপন করলেন অজয়। শিহরিত উপস্থিত সবাই। প্রত্যেক ধ্বজাস্থাপকের জন্য ১০ লক্ষ টাকা করে বিমার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হোমকুণ্ডে মহাযজ্ঞ চলল। নরসিংহ মন্ত্র, আর রাধামাধবের স্ত্রোত্র পাঠ চলল। খড় এবং হোগলার ছাউনি দেওয়া হোমকুণ্ডের বিপরীতে আমন্ত্রিত বিশিষ্ট অতিথিদের মধ্যে গিয়ে বসলেন মমতা। টলিউড, বলিউড, বণিকসভা, শিল্পপতি, শিল্পী, মন্ত্রী, সাংসদ-বিধায়ক, কে নেই! বিকেল সোয়া ৪টেয় যজ্ঞকুণ্ডে পুণ্যাহুতির মাহেন্দ্রক্ষণ। পুরোহিতদের আহ্বানে হোমকুণ্ডে পুণ্যাহুতি দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
আজ, বুধবার জগন্নাথদেবের মন্দিরের দ্বারোদঘাটন। রাম, বাম, কংগ্রেস, এসইউসি সবাইকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। অভিনেতা দেব, নৃত্যশিল্পী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়, গায়ক নচিকেতা-রূপঙ্কর, গায়িকা শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো কৃতিরা এসে গিয়েছেন। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের আমন্ত্রণ পৌঁছেছে বিজেপির সুকান্ত মজুমদারের কাছে। আমন্ত্রিত সিপিএমের বিমান বসু, রবীন দেব, কংগ্রেসের প্রদীপ ভট্টাচার্য, এসইউসির তরুণ মণ্ডল। আসছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি নেতা সস্ত্রীক দিলীপ ঘোষও আমন্ত্রিত। দিলীপ ঘোষ উপস্থিত থাকতে পারেন বলেও শোনা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, দীঘায় জগন্নাথ মন্দিরের চূড়ায় নিত্যদিন যাঁরা ধ্বজা পরিবর্তন করবেন অর্থাৎ ধ্বজা উত্তোলকদের জন্যও মানবিক পদক্ষেপ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রত্যেক ধ্বজা উত্তোলকের জন্য মাথাপিছু ১০ লক্ষ টাকার বিমা করিয়ে দিলেন তিনি। পুরীর মন্দিরে এঁরাই বংশ পরম্পরায় ধ্বজা উত্তোলনের কাজ করেন। তাঁদেরই তিনজন প্রতিদিন বিকেলে দীঘার মন্দিরের ধ্বজা পরিবর্তন করবেন। এরজন্য পারিশ্রমিকও পাবেন তাঁরা।