বর্ষশেষে দীঘায় জনসমুদ্র, জমজমাট বিচ ফেস্টিভ্যাল

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ০৯:৫৪: বছর শেষে পর্যটকদের ভিড়ে কার্যত তিল ধারণের ঠাঁই নেই সৈকতশহর দীঘায় (Digha)। বড়দিন থেকেই যে ভিড়ের সূচনা হয়েছিল, বছরের শেষ দু’দিনে তা জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। পর্যটকদের আনন্দ দ্বিগুণ করতে মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর থেকে ওল্ড দীঘার সৈকতাবাস প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে দু’দিনব্যাপী জমজমাট ‘বিচ ফেস্টিভ্যাল’।
মঙ্গলবার এই উৎসবের সূচনা হয়। পর্যটকদের বিনোদনের জন্য উপস্থিত রয়েছেন একঝাঁক শিল্পী। তবে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে আজ, ৩১ ডিসেম্বর মাঝরাতের উদযাপন। বর্ষবিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে রাত ১২টায় থাকছে বিশেষ আতশবাজির প্রদর্শনী। সৈকতে দাঁড়িয়ে এই মায়াবী মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে মুখিয়ে রয়েছেন হাজার হাজার পর্যটক। ইতিমধ্যেই দীঘা, মন্দারমণির হোটেলগুলি সেজে উঠেছে আলোর মালায়। বর্ষবরণের রাতে পর্যটকদের উল্লাসের কথা মাথায় রেখে বহু হোটেলেই আয়োজন করা হয়েছে ডিজে নাইটের।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও হোটেল মালিকদের মতে, এবারের দীঘার ভিড়ের চিত্রটা অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশ আলাদা। আগে পর্যটকদের মূল আকর্ষণ ছিল শুধুমাত্র সমুদ্র। কিন্তু এখন তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নির্মীয়মান জগন্নাথ মন্দিরের আকর্ষণ। নতুন বছরের প্রথম সূর্যোদয় দেখার পাশাপাশি অনেকেই জগন্নাথদেবকে পুজো দিয়ে বছর শুরু করতে চাইছেন। এই ধর্মীয় আবেগ পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা পালন করছে।
এদিকে বিপুল জনসমাগমের কথা মাথায় রেখে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে দীঘা, মন্দারমণি, তাজপুর ও শংকরপুর চত্বর। বর্ষবরণের রাতে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি পুলিশ। পর্যটকদের সুরক্ষায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের তরফে চালু করা হয়েছে একটি বিশেষ হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর (৭০৪৭৯৮৯৮০০)। বেড়াতে এসে কেউ কোনও সমস্যায় পড়লে বা অভিযোগ থাকলে সরাসরি এই নম্বরে জানাতে পারবেন। জনসচেতনতা বাড়াতে পুলিশের পক্ষ থেকে জায়গায় জায়গায় পোস্টার সাঁটানোর পাশাপাশি পর্যটকদের মধ্যে লিফলেটও বিলি করা হচ্ছে।