রাজ্য বিজেপি এখন চালাচ্ছে দালালরা, দিলীপ বাণে বিদ্ধ পদ্ম শিবির

শনিবারও নতুন পোস্ট করলেন এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে।

June 8, 2024 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সাধারণ পরাজয় নয়। বড় মাপের হার। প্রথম থেকেই জয়ের ব্যাপারে চূড়ান্ত আত্মবিশ্বাসী হলেও শেষমেষ লোকসভা ভোটে হারলেন দিলীপ। তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদের কাছে। ২২ গজের খেলোয়াড়ের কাছে হার মানতে হল রাজনীতির দুঁদে খেলোয়াড়কে। এই দিলীপ ঘোষের হাত ধরেই বাংলায় ২০১৯ সালে ১৮ টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ৭৭ জন প্রার্থী জিতে এসেছিলেন এই দিলীপ ঘোষের অধিনায়কত্বেই। এরপর মাঝে ৩ টি বছর চলে গেলেও ভোটের শতকরা হিসেবে আর এগোতে পারল না বিজেপি। বরং গত লোকসভা ভোটের থেকে ৬ টি কম আসনে জয় পেল গেরুয়া শিবির।

গত দু’দিন খানিক রাখঢাক করে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছিলেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি সরাসরি বিঁধলেন বঙ্গ বিজেপির বর্তমান শাসক গোষ্ঠীকে। বললেন, ‘কিছু দালাল পার্টি চালাচ্ছে। আসলে এবার বাংলায় বিজেপির সংগঠন বলে কিছুই ছিল না।’ এর আগে নিজের পরাজয়ের জন্য কেন্দ্র বদলকে দায়ী করেছেন তিনি। এমনকী সেব্যাপারে কারও কারও কলকাঠি নাড়ার অভিযোগও তুলেছেন। এদিন অবশ্য তাঁর গলায় ছিল আক্ষেপের সুর। দিলীপবাবু বলেন, ‘গত ৪ বছর আমি পার্টির কার্যক্রমে যাই না। কারণ, ওরা আমায় ডাকে না। আমার মতামতও নেয় না।’

শনিবারও নতুন পোস্ট করলেন এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে। তিন শব্দের সেই পোস্টে দলের প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। এক্সে দিলীপ শনিবার সকাল সকাল যে ছবিটি পোস্ট করেছেন, তাতে তিনটি মাত্র শব্দ রয়েছে— ‘ওল্ড ইজ় গোল্ড’। যার বাংলা তর্জমা করলে হয়— ‘পুরনো জিনিস সোনার মতো দামি’। এই পোস্টের সঙ্গে আর একটি শব্দও খরচ করেননি দিলীপ।

দিলীপ ঘনিষ্ঠদের অভিযোগ, গত বিধানসভা ভোটের পর রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মিলে দলের মধ্যে এক অশুভ আঁতাত গড়ে তুলেছেন। মোটা টাকার বিনিময়ে দলের রাজ্য কমিটি, জেলা সভাপতি, মণ্ডল সভাপতির পদ বিক্রি হয়েছে। একাধিক জেলা থেকে বালি, কয়লা, গোরু পাচারের টাকা এক ‘তৎকাল’ নেতার কাছে জমা পড়ত। তিনি সেই টাকার ভাগ ‘গুরুত্ব বুঝে’ বিজেপি নেতাদের মধ্যে বিলি করতেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen