করোনা চলে গেছে, তাও ঢং করে বাংলায় লকডাউন হচ্ছে!- দিলীপ ঘোষ

এমন এক পরিস্থিতিতে এ রাজ্যে লকডাউনের সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করতে গিয়ে দিলীপ বাবু যা বললেন, তাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভুল বার্তা ছড়াতেই পারে।

September 10, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

বিধানসভা নির্বাচন যত এগোচ্ছে, ততই যেন বেলাগাম মন্তব্য বাড়ছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। অপরদিকে, গোটা বিশ্বের মধ্যে আক্রান্ত ও প্রতিদিনের মৃত্যুর নিরিখে শীর্ষস্থান দখল করে চলেছে ভারত। এমনকী কবে এই পরিস্থিতি ঠিক হবে, কেউ জানে না। সর্বগ্রাহ্য কোনও ভ্যাকসিনও এখনও বাজারে এসে পৌঁছায়নি। অথচ এমন এক পরিস্থিতিতে এ রাজ্যে লকডাউনের সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করতে গিয়ে দিলীপ বাবু যা বললেন, তাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভুল বার্তা ছড়াতেই পারে।

বুধবার হুগলির ধনেখালির একটি জনসভায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘করোনা চলে গিয়েছে। তা সত্বেও দিদিমণি (পড়ুন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) শুধু শুধু লকডাউন করে ঢং করছেন। এর উদ্দেশ্যই হল, বিজেপি যাতে মিটিং-মিছিল না করতে পারে। কিন্তু আমরা মিছিল করবই। যেখানে বেরোব, সেখানেই মিছিল হবে। যেখানে দাঁড়াব, সেখানেই মিটিং হয়ে যাবে। কারও আটকানোর ক্ষমতা নেই। আমাদের মিটিংয়ের ভিড় দেখে দিদির ভাইদের শরীর খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এই শরীর খারাপ করোনার নয়, বিজেপির।’

এখানেই অবশ্য শেষ নয়, করোনাতে রাজ্য সরকার দুর্নীতি করেছে বলেও এদিন আবার অভিযোগ তোলেন দিলীপ বাবু। বলেন, ‘আড়াই হাজার কোটি টাকা কোথায় গেল? ১৪ টাকার স্যানিটাইজার ৩৫ টাকায়, ২৫ টাকার মাস্ক ১০০ টাকায় কেনা হয়েছে। ভাইপোর কাছের লোকেরাই সব অর্ডার পেয়েছে। সেই টাকা আবার পার্টি ফান্ডে চলে গেছে।’

যদিও দিলীপ বাবুর ‘করোনা চলে গেছে’ মন্তব্য নিয়েই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। দেশে দৈনিক করোনা সংক্রমণ গত কয়েকদিন ধরেই ঘোরাফেরা করছে ৮৫-৯০ হাজারের গণ্ডিতে। মঙ্গলবারও আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৭৫ হাজার মানুষ। সেইসঙ্গে এক দিনে মৃত্যুও ১১০০ ছাড়িয়েছে। সংক্রমণের সংখ্যার নিরিখে ব্রাজিলকে টপকে ইতিমধ্যেই বিশ্বের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ভারত। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে দিলীপ বাবু ‘করোনা চলে গেছে’ বলতে পারলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।

হুগলির সভার আগে বোলপুরেও এদিন রাজ্য সরকারকে ভিখারির সঙ্গে তুলনা করেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, ‘এরা তো কেন্দ্রের সব কিছুতেই বিরোধিতা করে। কিন্তু জিএসটি’র টাকাটা ঠিক চাই। কিছু হল কী হল না, টাকা চাই, টাকা চাই। এরা আসলে ভিখারির মত করে।’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘কেন্দ্রের ট্রেন, বিমান কিছুই ঢুকতে দেবে না রাজ্যে। কিন্তু চাল, ডাল নেবে। কারণ এগুলো লুট করতে সুবিধা হয় তৃণমূলের।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen