তৃণমূলের ভাঙনে খুশি নন দিলীপ ঘোষ
দিলীপ যেখানে নিজেকে প্রায় রাজ্যের আগামি মুখ্যমন্ত্রী ভেবেই ফেলেছেন সেখানে এতো বড় বড় নেতাদের দলে উপস্থিতি তাঁকে প্রাণ ভরে সেই দিবা স্বপ্ন দেখতে দিচ্ছে না। সব সময় ভয়ে থাকছেন দিলীপ ঘোষ, পাছে দলে তিনি গুরুত্ব হারান।
২০২১-এর নির্বাচন আর বেশি দূরে নয়। সাকুল্যে ৬ মাসও নেই নির্বাচনের। তাই ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি।
দুঃসময় চলছে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের! দল ছাড়ছেন বেশ কিছু নেতা।
আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) এককালের ডান হাত হিসেবে পরিচিত নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) দলের সদস্যপদ ছাড়লেন।
ইতিমধ্যে মমতার দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন কলকাতা পৌরসভার তৎকালীন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, বিধাননগর (সল্টলেক) পৌরসভার মেয়র সব্যসাচী দত্ত, তৃণমূল সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, অর্জুন সিং, অনুপম হাজরা, উত্তরের মিহির গোস্বামী। ২০১৬ সালে দল বদল করেন মুকুল রায়ও।
তৃণমূলের এই ভাঙনে যেখানে উচ্ছসিত রাজ্য সহ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও। সেখানে এই হেভি ওয়েট নেতাদের দল বদলে মোটেই খুশি নন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সূত্রমতে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এর আগে মুকুল বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেও দিলীপের একই অবস্থা হয়েছিল। এই ভয় পদ হারানোর ভয়। দিলীপ যেখানে নিজেকে প্রায় রাজ্যের আগামি মুখ্যমন্ত্রী ভেবেই ফেলেছেন সেখানে এতো বড় বড় নেতাদের দলে উপস্থিতি তাঁকে প্রাণ ভরে সেই দিবা স্বপ্ন দেখতে দিচ্ছে না। সব সময় ভয়ে থাকছেন দিলীপ ঘোষ, পাছে দলে তিনি গুরুত্ব হারান।
শুভেন্দু দলে যোগ দেওয়ার পর আর সেই ভয় যে মোটেই অবান্তর নয়, তা বলাই বাহুল্য।