‘যাঁরা কঠিন সময়ে লড়ছেন তাঁদেরই অপমান করছেন’, দিলীপকে বার্তা তৃণমূলের
অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে তাঁর এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে রাজ্যের শাসকদল।

পুলিশকে বউবাচ্চার মুখ দেখতে দেব না, এই হুমকি দিয়ে বিতর্কে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। আপাতত তাঁর মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। দিলীপকে পালটা তোপ দেগেছে তৃণমূল। অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে তাঁর এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে রাজ্যের শাসকদল।
কোভিড পরিস্থিতিতে যখন সকলে দরজা বন্ধ করে ঘরে বসেছিলেন, ঠিক সেই সময় একেবারে রাস্তায় নেমে অদৃশ্য শত্রুর সঙ্গে লড়াইয়ে প্রথম সারিতে ছিলেন পুলিশকর্মীরা (Police)। তাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন। তবে লড়াইয়ের রাস্তা থেকে সরে আসেননি তাঁরা। অথচ সেই পুলিশকর্মীদেরই ‘অপমান’ করা হল বলেই বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে তোপ দেগেছে তৃণমূল (TMC)। বাংলার মানুষ এই লজ্জাজনক মন্তব্য ভুলবে না বলেও ওই টুইটে উল্লেখ করা হয়।
কাকলি ঘোষ দস্তিদারও বিজেপি সাংসদের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। তিনি টুইটে তাঁকে তীব্র আক্রমণ করেন। দিলীপ ঘোষকে উদ্দেশ্য করে তিনি লেখেন, “দয়া করে পুলিশ কর্মীদের এবং তাঁদের পরিবারকে এইভাবে অসম্মান করবেন না। রাজনীতি রাজনীতির জায়গায় থাক। কয়েকটা ভোটের জন্যে মনুষ্যত্বটাই ত্যাগ করা শোভা দেয় কি?”
রবিবার খড়দহের সোদপুর বোর্ডঘরে এবং ঘোলা বাসস্ট্যান্ডে চায়ে পে চর্চায় অংশ নিয়েও তৃণমূল নেতা ও পুলিশের একাংশকে আক্রমণ করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, “যে পুলিশ অফিসাররা তৃণমূলের কথা শুনে চলছেন। আমাদের কর্মীদের মিথ্যা কেস দিচ্ছেন। আনন্দে আছেন। তাদের বলছি এই আনন্দ বেশিদিন টিকবে না। এক বছর পরে বউবাচ্চার মুখ দেখতে দেব না। যারা দু’নম্বরি পয়সায় ছেলেমেয়েদের বেঙ্গালুরুতে ভরতি করেছেন। তাদের পড়াশোনা শেষ হবে না। ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হবে না। তাদের পরিযায়ী শ্রমিক করে ছাড়ব।” তাঁর মন্তব্য নিয়ে চলছে জোর তরজা।