রেলের একটি নির্দেশিকা নিয়ে শিয়ালদহ ডিভিশনে কোন্দল
সূত্রের দাবি, এই ইস্যুতে পূর্ব রেলের হেড কোয়ার্টারের কিছু অফিসারের সঙ্গে চরম সংঘাত শুরু হয়েছে শিয়ালদহ ডিভিশনের অফিসারদের

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ররিবার রেলের এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, ১৫ তারিখের নির্দেশনামায় সাফ বলা ছিল, লোকাল ট্রেনগুলি যাত্রী ওঠানামার জন্য আধ মিনিট সময় পাবে। এই সময়ের মধ্যে যাত্রী তুলে পরবর্তী গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেবে ট্রেন। সেই মতো গোটা ডিভিশনে এই নিয়ম মেনে চলা হচ্ছে। সূত্রের দাবি, এই ইস্যুতে পূর্ব রেলের হেড কোয়ার্টারের কিছু অফিসারের সঙ্গে চরম সংঘাত শুরু হয়েছে শিয়ালদহ ডিভিশনের অফিসারদের। আর সেই কারণে এই বেনজির সঙ্ঘাত। ওই রেলকর্তার প্রশ্ন, একই জোনের অধীনে থাকা রেলের একটি শাখা কীভাবে আরেকটি শাখার লিখিত অর্ডার সম্পর্কে এরকম মন্তব্য করতে পারে?
বিষয়টি নিয়ে পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার পর্যন্ত রীতিমতো বিরক্ত বলে জানা গিয়েছে। এমনকী, এনিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তৎপরতাও। সূত্রের খবর, রাজ্য বিজেপির তরফে রেলের কয়েকজন অফিসারের ভূমিকা সম্পর্কে ‘বিশেষ ইনপুট’ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে দিল্লির নির্দিষ্ট জায়গায়। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের ঘনিষ্ঠ এক বিজেপি নেতার দাবি, ‘পূর্ব রেল ও মেট্রো নিয়ে সাম্প্রতিক অতীতে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। আমরা বিভিন্ন মহল থেকে তথ্য সংগ্রহ করছি। যাত্রীদের স্বার্থে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।’
শিয়ালদহ ডিভিশনের এক অফিসার বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য যাত্রী পরিষেবার মান বৃদ্ধি। তার জন্যই এই পদক্ষেপ। লোকাল ট্রেনের প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে যাওয়ার সময়সীমা ৩০ সেকেন্ড আগে থেকেই রয়েছে। কিন্তু যাত্রীদের একাংশ বিভিন্নভাবে চালকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্ল্যাটফর্মে বাড়তি সময় ট্রেন দাঁড় করিয়ে রাখতে বলেন। এভাবে আপ-ডাউনে প্রতিটি স্টেশনে বাড়তি সময় দাঁড়াতে গিয়ে সার্বিকভাবে লোকাল ট্রেনের সময়ানুবর্তিতা নষ্ট নয়। এই মুহূর্তে শিয়ালদহ ডিভিশনে দিনে ৮৮৯টি লোকাল ট্রেন চলাচল করে। ১৬ লক্ষ যাত্রী প্রতিদিন সেই পরিষেবা নেন। প্রতিটি ট্রেন এক-একটি ট্রিপে এভাবে ১০ থেকে ১৫ মিনিট লেট করছে। সব মিলিয়ে বিলম্ব হচ্ছে ট্রেন চলাচলে। লোকাল ট্রেন লেটের এই পরিচিত ঘটনায় বদল আনতে যাত্রীদের সহযোগিতাও চাই আমরা।’