SIR-এ অনাথদের ভোটাধিকার কি নেই? কমিশনের জবাবে অস্পষ্টতা
![]()
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ২০:০০: নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। সোমবার নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবনে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে কমিশনের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়, বিহারের পর পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের ১২টি রাজ্যে রাত ১২টা থেকে শুরু হচ্ছে এই সংশোধন প্রক্রিয়া। ভোটার তালিকা Updated করতে এবং নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্ত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে এই প্রক্রিয়া ঘিরে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে, বিশেষ করে যাঁরা অনাথ- অর্থাৎ যাঁদের বাবা-মা নেই বা পরিচয়পত্র নেই, তাঁদের ভোটার হিসেবে স্বীকৃতি নিয়ে।
সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার (Gyanesh Kumar) জানান, বুথ লেভেল অফিসাররা (BLO) বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনুমারেশন ফর্ম (Enumeration Form) বিতরণ করবেন। ভোটারদের সেই ফর্ম পূরণ করে জমা দিতে হবে। কমিশনের (Election Commission of India) নির্দেশ অনুযায়ী, ২০০৩ সালের ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের বাড়তি কোনও নথি জমা দিতে হবে না। এমনকি যদি কারও নিজের নাম না থাকে, কিন্তু বাবা-মায়ের নাম তালিকায় থাকে, তাহলেও বাড়তি কাগজপত্রের প্রয়োজন নেই। শুধু ফর্ম পূরণ করলেই হবে।
তবে সমস্যা দেখা দিচ্ছে সেইসব মানুষদের ক্ষেত্রে, যাঁরা কোনও অভিভাবকহীন- অনাথ। তাঁদের কাছে নেই কোনও নথি, নেই বাবা-মায়ের নামের প্রমাণ। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কমিশনের তরফে কোনও স্পষ্ট দিশা দেওয়া হয়নি। বরং বলা হয়েছে, “কোথাও তো তাঁদের বাবা-মা থাকবেন।” কমিশনের দাবি, বিএলও’রা নিশ্চয়ই খুঁজে বের করবেন সেই তথ্য। কিন্তু বাস্তবে তা কতটা সম্ভব, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেকেই।
কমিশনের নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী, যদি কোনও ভোটার ২০০৩ সালের তালিকায় নিজের বা অভিভাবকের নাম খুঁজে না পান, তাহলে তাঁকে নির্ধারিত নথি জমা দিয়ে নিজেকে বৈধ ভোটার হিসেবে প্রমাণ করতে হবে। কিন্তু যাঁদের কাছে কোনও নথিই নেই, তাঁদের ক্ষেত্রে কী হবে- এই প্রশ্নের উত্তর এদিন কমিশনের তরফে মেলেনি।
এই পরিস্থিতিতে বিশেষ করে অনাথ আশ্রমে বড় হওয়া বা আত্মীয়-পরিজনের কাছে লালিত মানুষদের ভোটাধিকার নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তাঁদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি নিয়ে কোনও সুস্পষ্ট নীতিমালা না থাকায়, এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ আরও বাড়ছে। কমিশনের তরফে আশ্বাস দেওয়া হলেও, বাস্তবে তা কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সমাজকর্মী ও সাধারণ নাগরিকরা।