H3N2 Virus: আতঙ্ক ছড়াচ্ছে হংকং ফ্লু, জানেন কীভাবে ছড়ায় এই ভাইরাস?
হাঁচি বা কাশির সময় মুখ ঢেকে নিন, ধূম জ্বর, শুকনো কাশি, গায়ে ব্যথা বা হাল্কা শ্বাসকষ্ট হলে সঙ্গে সঙ্গে টেস্ট করিয়ে নিতে হবে। বেশি করে জল খান, শরীর হাইড্রেটেড রাখতে হবে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: করোনা আতঙ্ক শেষ হতে না হতে এবার দোসর হয়েছে হংকং ফ্লু বা H3N2 ভাইরাস। অ্যাডেনোভাইরাস, রেসপিরেটারি সিনসিটিয়াল ভাইরাস(RSV) সহ একাধিক ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়ার উপদ্রব বেড়েছে। বাংলায় শিশুদের জন্য প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছে অ্যাডেনোভাইরাস, এদিকে দেশের কয়েকটি রাজ্যে মারাত্মক ছোঁয়াচে ইনফ্লুয়েঞ্জারই এক উপপ্রজাতি (H3N2 Influenza A Virus) ছড়িয়ে পড়েছে। দেশে প্রথম এই ভাইরাসের সংক্রমণেই দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।
এইচ৩এন২ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশের মধ্যে প্রথম মৃত্যু হল দুই রাজ্যে। শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক সূত্রে এমনই দাবি করেছে। ওই সূত্রের দাবি, মৃতদের মধ্যে এক জন হরিয়ানার বাসিন্দা, অন্য জন কর্নাটকের।
হংকং ফ্লু-র উপসর্গ ?
H3N2 ভাইরাস সংক্রমণের জেরে জ্বরের পাশাপাশি থাকবে কাশি। সেই সঙ্গে নাক থেকে একনাগারে জল পড়তে থাকে। থাকবে গলাব্যথা ও মাথাব্যথার মতো উপসর্গ। অনেক ক্ষেত্রে বমিবমি ভাব, সারা শরীর যন্ত্রণা ও ডায়েরিয়ার উপসর্গ লক্ষ্য করা গেছে। তবে, এই ফ্লু-তে আক্রান্তদের চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তাঁদের কথায় অত্যাধিক অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে পার্শ্বক্রিয়া দেখা যেতে পারে। তবে জ্বর, সর্দি-কাশির উপসর্গ দেখা দিলেই, চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলেছেন তাঁরা।
কীভাবে ছড়ায় এই ভাইরাস?
এই ভাইরাল (H3N2 Influenza A Virus) স্ট্রেন একবার শরীরে ঢুকলে তাড়াতাড়ি সংখ্যায় বাড়তে পারে এবং আক্রান্তের থেকে দ্রুত ছড়াতেও পারে। সর্দি-কাশি, মুখ থেকে বেরনো থুতু-লালায় থাকা ভাইরাস ড্রপলেটের মাধ্যমে সুস্থ ব্যক্তিকে সহজেই সংক্রমিত করতে পারে। ইনফ্লুয়েঞ্জার এইচ৩এন২ উপপ্রজাতির সংক্রমণে এখনও অবধি মৃত্যুর খবর না এলেও,জানা যাচ্ছে রোগীরা ফুসফুসের জটিল অসুখ ও প্রবল শ্বাসকষ্টে ভুগছে।
সুরক্ষিত থাকতে কী কী করবেন, করবেন না
বারে বারে হাত ধুতে হবে, সঙ্গে স্যানিটাইজার রাখতেই হবে, ফেস মাস্ক ছাড়া বাইরে বেরোবেন না, বারে বারে নাকে ও মুখে হাত দেবেন না, হাঁচি বা কাশির সময় মুখ ঢেকে নিন, ধূম জ্বর, শুকনো কাশি, গায়ে ব্যথা বা হাল্কা শ্বাসকষ্ট হলে সঙ্গে সঙ্গে টেস্ট করিয়ে নিতে হবে। বেশি করে জল খান, শরীর হাইড্রেটেড রাখতে হবে।
হাত মিলিয়ে হ্যান্ডশেক করা বা কোলাকুলি করবেন না, জনবহুল জায়গায় থুতু ফেলবেন না, নিজে থেকে অ্য়ান্টিবায়োটিক খাবেন না, উপসর্গ বুঝলে ডাক্তার দেখিয়ে সঠিক চিকিৎসায় থাকুন, বেশি ভিড়ে যাবেন না, বাসে বা গণপরিবহনে ঘেঁষাঘেঁষি করে বসা বা রেস্তোরাঁ ভিড় থাকলে সেখানে গিয়ে খাওয়া ঠিক হবে না।