খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে ভারতীয়দের সতর্ক করলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ডাক্তার

করোনায় মৃত্যু এড়াতে দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে ভারতীয়দের সতর্ক করলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ চিকিৎসক ডাঃ অসীম মালহোত্রা। ব্রিটেনের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস)-এর সঙ্গে যুক্ত স্বনামধন্য কার্ডিওলজিস্ট ডাঃ মালহোত্রা আবার ‘এভিডেন্স বেসড মেডিসিন’-এর অধ্যাপক। খাবারের তালিকা থেকে তিনি বিশেষ ভাবে সংরক্ষিত বা প্রক্রিয়াজাত খাবার বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

May 5, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

করোনায় মৃত্যু এড়াতে দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে ভারতীয়দের সতর্ক করলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ চিকিৎসক ডাঃ অসীম মালহোত্রা। ব্রিটেনের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস)-এর সঙ্গে যুক্ত স্বনামধন্য কার্ডিওলজিস্ট ডাঃ মালহোত্রা আবার ‘এভিডেন্স বেসড মেডিসিন’-এর অধ্যাপক। খাবারের তালিকা থেকে তিনি বিশেষ ভাবে সংরক্ষিত বা প্রক্রিয়াজাত খাবার বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। 

ডাঃ মালহোত্রা বলেছেন, স্থূলতা এবং অস্বাভাবিক ওজনের কারণে অনেক ক্ষেত্রেই করোনায় বিরুদ্ধে লড়াই কঠিন হয়ে পড়ছে। বলা যায়, করোনায় আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর ক্ষেত্রে এই অস্বাভাবিক ওজন বা স্থূলতা একটা বিরাট ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করছে। 

খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে ভারতীয়দের সতর্ক করলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ডাক্তার প্রতীকী চিত্র

৪২ বছরের এই চিকিৎসক জানিয়েছেন, ‘ভারতের ক্ষেত্রে প্রধান সমস্যা হল সেখানকার ক্রুটিপূর্ণ জীবনযাত্রার কারণে নানা ধরনের রোগ শরীরে বাসা বাঁধা। যেমন, টাইপ টু ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং হার্টের রোগ। আর এই ফ্যাক্টরগুলিই করোনা আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে মৃত্যুর কারণ হয়ে উঠছে। এর পাশাপাশি দেহের অস্বাভাবিক ওজন করোনা রোগীদের প্রাণ সংশয়ের কারণ হয়ে দেখা দিচ্ছে।’ 

চিকিৎসকদের মতে, করোনার প্রকোপে আমেরিকা এবং ব্রিটেনে এত বিপুল মানুষের প্রাণহানির মূলে রয়েছে এই ত্রুটিপূর্ণ খাদ্যাভ্যাসের বিষয়টিই। তাই, ডাঃ মালহোত্রা এখন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সতর্কতামূলক প্রচারে নেমেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ব্রিটেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৬০ শতাংশ মৃত্যুর ক্ষেত্রে স্থূলতা এবং অস্বাভাবিক ওজন একটা বড় ভূমিকা পালন করেছে। এছাড়া, ব্লাড সুগার, কোলেস্টেরলের মতো সমস্যা তো রয়েইছে। 

ডাঃ মালহোত্রার মতে, ‘সবাই যদি যথাযথ জীবনধারণের মাধ্যমে মেটাবলিক হেলথ প্যারামিটারগুলি ঠিক রাখতে পারেন, তাহলে শুধু করোনা কেন, যে কোনও রোগের ক্ষেত্রেই তাঁদের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। ভালো খাদ্যাভ্যাসই শুধু নয়, ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রেও ডাঃ মালহোত্রা যথাযথ সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন। বিশেষত, টাইপ টু ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে এমন কিছু ওষুধ রয়েছে, যা আয়ু বৃদ্ধি কিংবা মৃত্যুর ঝুঁকি কম করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কম কার্যকরী। 

কিন্তু, ওই ওষুধগুলি সেবনে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়, উপকারের থেকে অপকারই হয় বেশি। তাই, ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া নিজেদের ইচ্ছামতো ওষুধ খেতে বারণ করেছেন তিনি। পাশাপাশি দৈনন্দিন খাদ্যতালিকা থেকে প্রক্রিয়াজাত খাবার, রেড মিট, ফ্রজেন ফুড বাদ দিয়ে বেশি করে শাকসবজি, টাটকা ফল এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। 

তাঁর মতে, দক্ষিণ এশিয়ার বাসিন্দারা যদি নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করেন, তাহলে করোনা মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই অনেক বেশি সহজ ও কার্যকরী হবে। করোনার মোকাবিলায় ব্রিটেনে বসবাসকারী কৃষ্ণাঙ্গ, এশীয় এবং সংখ্যালঘু জাতিভুক্ত অন্যান্য সম্প্রদায়ের প্রতি এই পরামর্শই দিয়েছেন ডাঃ মালহোত্রার মতো অনেক চিকিৎসকই।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen