Donald Trump-র সম্ভাব্য পাকিস্তান সফর, কূটনীতিতে বড় ধাক্কা মোদী সরকারের?
সামরিক সম্পর্ক জোরদার, পাকিস্তান সেনাপ্রধানের সঙ্গে গোপন বৈঠক, সব মিলিয়ে কূটনীতিতে ঘুঁচতে চলেছে মোদী সরকারের ‘গ্লোবাল ইমেজ’?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২০:১৫: ভারতের কূটনীতিতে ধাক্কা? সেপ্টেম্বরে পাকিস্তান সফরে আসতে পারেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump), খবর এমনই। ২০০৬-এর পরে প্রথমবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের পা পড়তে চলেছে ইসলামাবাদে। সামরিক সম্পর্ক জোরদার, পাকিস্তান সেনাপ্রধানের সঙ্গে গোপন বৈঠক, আর ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষে ট্রাম্পের ভূমিকা – সব মিলিয়ে কূটনীতিতে ঘুঁচতে চলেছে মোদী সরকারের ‘গ্লোবাল ইমেজ’?
২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে পাকিস্তান (Pakistan) সফরে আসতে পারেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এমনই দাবি করেছে পাকিস্তানের একাধিক সংবাদমাধ্যম। যদিও ইসলামাবাদের বিদেশ মন্ত্রক এ বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি, তবুও জল্পনা তুঙ্গে।
এই সম্ভাব্য সফরকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে এক নতুন উত্তাপ দেখা দিয়েছে। কারণ বাইডেন প্রশাসনে যেখানে পাকিস্তানের গুরুত্ব অনেকটাই কমেছিল, সেখানে ট্রাম্প ফের ক্ষমতায় ফিরেই ইসলামাবাদের দিকে ঝুঁকছেন বলে অনুমান। সম্প্রতি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির ও বিমানবাহিনী প্রধান জাহির সিধুর সঙ্গে ওয়াশিংটনে একাধিক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক, সেই বার্তাই বহন করে।
সম্প্রতি পাকিস্তানের উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের একটি প্রতিনিধি দল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছে। এই সফরে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার মার্শাল জাহির আহমেদ বাবর সিধু মার্কিন বায়ুসেনা প্রধান জেনারেল ডেভিড ডব্লিউ আলভিন-সহ আমেরিকার সামরিক নেতৃত্বের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক করেন। এটি ছিল প্রায় এক দশক পর পাকিস্তানি বিমানবাহিনীর কোনো প্রধানের প্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর। বাবর সিধু মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং মার্কিন কংগ্রেসের কয়েকজন সদস্যের সাথেও সাক্ষাৎ করেন।
উল্লেখ্য, পাকিস্তান সফরের পরে ভারতেও (India) আসার পরিকল্পনা রয়েছে ট্রাম্পের। যদিও ভারত সফর কিছুটা ভারসাম্য রক্ষার কৌশল হতে পারে, তবে ইসলামাবাদের (Islamabad) সঙ্গে আমেরিকার (America) এই ঘনিষ্ঠতা নয়াদিল্লির কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় বড় ধাক্কা হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
পহেলগাম হামলার পরে পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে একঘরে করার ভারতীয় কূটনৈতিক প্রয়াস হয়তো ট্রাম্প সফরে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ইসলামাবাদ ইতিমধ্যেই ট্রাম্পের ভূমিকাকে প্রশংসা করে তাঁকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের প্রস্তাব দিয়েছে। বলা বাহুল্য, এই সফর যদি বাস্তবে ঘটে, তা হলে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তান এক বড় কূটনৈতিক জয় পেতে চলেছে।