সুগারের ভয় কলা খান না? কোন উপায়ে কলা হতে পারে ডায়াবেটিকদের বন্ধু

November 12, 2025 | < 1 min read
Published by: Ritam

 

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২০:৪৫: অনেকেরই ধারণা, ডায়াবেটিস থাকলে কলা খাওয়া একেবারেই নিষিদ্ধ। কারণ, এই ফলের প্রাকৃতিক মিষ্টতা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্পূর্ণরূপে কলা বাদ দেওয়ার দরকার নেই। বরং সঠিক পরিমাণে ও সঠিক সময়ে খেলে কলা খাওয়ার পরও রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

কলার প্রভাব : কলা প্রাকৃতিক চিনি, ফাইবার, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি এবং পটাশিয়ামের চমৎকার উৎস। এতে চর্বি নেই বললেই চলে। বিশেষ করে কলার ফাইবার উপাদান রক্তে শর্করার দ্রুত বৃদ্ধি ঠেকাতে সাহায্য করে। তবে পরিমাণ ও পাকা অবস্থার উপর নির্ভর করে এর প্রভাব বদলে যায়।

কি উপায়ে কলা খেলে রক্তে নিয়ন্ত্রণে থাকবে শর্করা

১. অল্প পাকা কলা খান: সম্পূর্ণ পাকা বা অতিপাকা কলায় চিনি অনেক বেশি থাকে। অল্প পাকা কলায় রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ থাকে, যা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়তে দেয় না।

২. পরিমাণে সীমাবদ্ধতা রাখুন: প্রতিদিন আধা বা একটি ছোট কলা যথেষ্ট। বড় কলা বা একাধিক কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

৩. খাবারের পর খান: খালি পেটে নয়, মূল খাবারের পর কলা খেলে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়ে না।

৪. প্রোটিনের সঙ্গে খান: কলার সঙ্গে বাদাম, দই বা ডিমের মতো প্রোটিনযুক্ত খাবার খেলে শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৫. গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) মাথায় রাখুন: কলার GI মাঝারি (প্রায় ৫১), তাই একেবারে বেশি নয়। সঠিক পরিমাণে খেলে এটি ডায়াবেটিক ডায়েটে রাখা যায়।

ডায়াবেটিস মানেই ফল খাওয়া বন্ধ নয়। বরং কোন ফল, কতটা, কখন খাচ্ছেন সেটাই মূল বিষয়। অতএব, কলাকে একেবারে ‘নিষিদ্ধ’ ফল ভাবার কারণ নেই। খাদ্যতালিকায় সুষমভাবে অন্তর্ভুক্ত করলেই কলা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও উপকারী হতে পারে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen