‘জিমে যাবেন না, হিন্দু মহিলারা ঘরে বসে যোগা করুন’, মহারাষ্ট্রে BJP বিধায়কের মন্তব্যে বিতর্কের ঝড়

শুক্রবার বিড জেলার এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘জিমে যাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই, হিন্দু মহিলারা বাড়িতে বসেই যোগাসন করুন।’’ তাঁর দাবি, জিমখানাগুলিতে হিন্দু মেয়েদের বিরুদ্ধে ভয়ংকর ষড়যন্ত্র চলছে, যা তাঁদের বুঝতে হবে।
বক্তব্যে গোপীচাঁদ আরও বলেন, ‘‘কলেজপড়ুয়া হিন্দু মেয়েদের প্রতি জিমে এক ধরনের প্রতারণা চলছে। খুব ভালো কথা বলতে পারে বা সকলের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে এমন কারও ফাঁদে পা দেবেন না। আপনি প্রতারিত হতে পারেন।’’ যদিও তিনি কারও নাম উল্লেখ করেননি, তবে তাঁর মন্তব্যের ইঙ্গিত ছিল ভিন্ন সম্প্রদায়ের যুবকদের দিকে। বিধায়কের অভিযোগ, হিন্দু মহিলাদের (Hindu woman) প্রলুব্ধ করার চেষ্টা চলছে পরিকল্পিতভাবে।
তিনি আরও বলেন, ‘‘জিমে মহিলাদের কে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন, তা ভালো করে জানা উচিত। যদি বাড়ির অল্পবয়সি মেয়েরা জিমে যায়, তবে তাঁদের কাউন্সেলিং করানো উচিত। বাড়ির মধ্যেই যোগব্যায়াম করাই শ্রেয়। কারণ জিমে ভয়ংকর প্রতারণা চলছে এবং তাঁদের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে।’’ একইসঙ্গে তিনি কলেজে পরিচয়পত্র ছাড়া প্রবেশকারী তরুণদের চিহ্নিত করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরামর্শ দেন, যাতে ‘‘এক শক্তিশালী প্রতিরোধ ব্যবস্থা’’ গড়ে তোলা যায়।
এই মন্তব্য সামনে আসতেই রাজনৈতিক মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিরোধীরা অভিযোগ করেন, বিধায়কের বক্তব্য সাম্প্রদায়িক বিভাজন উসকে দিতে পারে এবং নারীদের স্বাধীনতা ও পছন্দের উপর হস্তক্ষেপের চেষ্টা। সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক।
উল্লেখ্য, এর আগেও গোপীচাঁদ পাড়লকর বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন। গত সেপ্টেম্বর মাসে এনসিপি (NCP) নেতা জয়ন্ত পাটিল ও তাঁর পরিবারকে নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। সেই ঘটনায় মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় তাঁর কুশপুতুল পোড়ানো হয়। এবার মেয়েদের জিমে যাওয়া নিয়ে মন্তব্য করে ফের বিতর্কের কেন্দ্রে এই বিজেপি বিধায়ক।