ভোটের মরসুমে ‘নকল বাঙালি’ সাজার নাটক, BJP-র কাছে বাংলা মানে শুধুই ভোটব্যাঙ্ক : তোপ তৃণমূলের

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৭:১৮: বাংলার মাটি, বাংলার মানুষ – এই শব্দগুলো ভোটের সময় যতটা উচ্চারিত হয়, ভোট ফুরালেই যেন ততটাই নীরব হয়ে যায় বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, বিজেপির কাছে বাংলা কোনও সাংস্কৃতিক রাজ্য নয়, শুধুই একটি ভোটব্যাঙ্ক। পরিসংখ্যান তুলে ধরে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে তোপ দাগল তৃণমূল।
তৃণমূলের পরিসংখ্যান
– ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলায় এসেছিলেন ১৭ বার। ২০২১ বিধানসভায় মোদী ও অমিত শাহ মিলিয়ে মাত্র ১০ সপ্তাহে ৩৮টি সফর।
– ২০২৪-এ তো বাংলা হয়ে উঠেছিল প্রধানমন্ত্রীর ১ নম্বর গন্তব্য-মার্চ থেকে মে পর্যন্ত ২৫টি জনসভা।
তৃণমূলের মতে, এগুলোই প্রমাণ করে যে বাংলা বিজেপির কাছে রাজ্য নয়, ভোটের মরসুমে ব্যবহৃত একটি প্ল্যাটফর্ম।
– ২০২১ সালে ৫২ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও ১৭ জন শীর্ষ নেতা বাংলায় হঠাৎ হাজির হন।
– নরেন্দ্র মোদী করেন ২৩টি সভা, অমিত শাহ ৭৯টি।
– দেশজুড়ে প্রধানমন্ত্রীর জনসভার মধ্যে বাংলার অংশ ১২%।
তৃণমূলের মতে, এটাই প্রমাণ করে বিজেপির কাছে বাংলা মানেই শুধু ভোটব্যাঙ্ক।
– ডিসেম্বর ২০২২-এ কলকাতায় একমাত্র শাসনমূলক সফর, যার পুনরাবৃত্তি হয়নি।
– জুলাই ২০২৫-এ দুর্গাপুরে প্রকল্প উদ্বোধনের সঙ্গে রাজনৈতিক ভাষণ।
– আগস্ট ২০২৫-এ কলকাতা ও দমদমে ১৭ দিনের ব্যবধানে দ্বিতীয় সফর – প্রকল্পের ঘোষণা ও জনসভা একসঙ্গে।
তৃণমূলের বক্তব্য, প্রকল্পের ঘোষণা হয় ঠিক ভোটের আগে, যেন উন্নয়ন নয়, বিজেপির প্রচারের প্ল্যাটফর্ম হয়ে ওঠে বাংলা।
তৃণমূলের আরও অভিযোগ, বঙ্গ বিজেপির নেতাদের গুরুত্ব দেওয়া হয় না, বরং প্রচারে ভরসা রাখা হয় অবাঙালি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ওপর।
– ২০২১ সালে বাংলার নিজস্ব সমস্যা ও সাংস্কৃতিক পরিচয় উপেক্ষা করে প্রচারে ভরসা রাখা হয় দিল্লির নেতাদের ওপর।
– এই ‘দূরের রাজনীতি’ বাংলার মানুষের কাছে নেতৃত্ব নয়, অপমান বলে প্রতিভাত হয়।
https://x.com/AITCofficial/status/1967490237762064627
বাঙালির আবেগ, সংস্কৃতি, ভাষা- এই সবকিছুর সঙ্গে সংযোগ না রেখে শুধু ভোটের সময় বিজেপি নেতাদের বাংলাকে মনে পড়ে। তৃণমূলের মতে, এটা বিজেপির ‘নকল বাঙালি’ সাজার চেষ্টা ছাড়া অন্য কিছু হতে পারে না। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বাংলার সঙ্গে এই দূরত্বই ২০২১-এর নির্বাচনে বিজেপির ব্যর্থতার অন্যতম কারণ।