বাংলায় বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখলেও, এই সাংসদ আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও ‘নির্দলীয়’
যিনি বিজেপির টিকিটে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তাঁর তো অবশ্যই পরিবর্তন করা উচিৎ।
স্বপন দাশগুপ্ত – সাংবাদিকতার জগতে এক পরিচিত নাম। টিভি বিতর্কেও প্রায়শই দেখা যায় তাকে। সব জায়গাতেই বিজেপির পক্ষে সওয়াল করেন তিনি। আর সেই কারণেই বোধ হয় কৃতজ্ঞস্বরূপ দল তাঁকে রাজ্যসভায় মনোনীত করেছিল। অবশ্য, রাজ্যসভায় তিনি রাষ্ট্রপতির মনোনীত সদস্য। শিল্প ও সাহিত্যে কৃতী হিসেবে রাজ্যসভার সদস্যপদ পেয়েছেন তিনি। কিন্তু সওয়াল করেন তিনি সরকারপক্ষের হয়েই।
স্বপন বাবু ইতিমধ্যেই রাজসভায় চার বছর অতিবাহিত করে ফেলেছেন। কিন্তু যে কারণে তিনি আজকাল চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে, সেটি হল পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন। আগামী বছর রাজ্যে নির্বাচন। প্রতিপক্ষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু তার বিরুদ্ধে প্রার্থী হবে কে? বিজেপির অন্দরে দাবিদার অনেক। যার মধ্যে অন্যতম নাম স্বপন বাবুর।
দিলীপ ঘোষের বিপরীত গোষ্ঠীর ‘নেতা’ স্বপন দাশগুপ্ত। সাংস্কৃতিক, পরিমার্জিত ভদ্রলোক ইমেজ ওনার ইউএসপি। ওনার টুইটার প্রোফাইল দেখলেই বোঝা যাবে সংসদের চেয়ে বাংলার প্রতি ওনার মনোযোগ বেশি। কিন্তু, এতো কিছুর পরেও, স্বপন বাবু রাজ্যসভায় বিজেপির কাছে প্রকাশ্যে আনুগত্য স্বীকার করেননি। বিধি অনুযায়ী, মনোনীত সদস্যরা শপথ নেওয়ার ছ’মাসের মধ্যে যে কোনও একটি অনুমোদিত দলের সদস্য হতে পারেন। তিনি সেই পথে হাঁটেননি।

উল্লেখ্য, রাজ্যসভার নয় জন মনোনীত সদস্য ছ’মাসের সময়সীমার মধ্যে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। এর মধ্যে রয়েছেন, সুব্রহ্মণ্যম স্বামী, রূপা গাঙ্গুলি, রাকেশ সিনহা, সোনাল মানসিংহ এবং রঘুনাথ মহাপাত্র। বাকি তিনজন মনোনীত সাংসদ, যারা দলে যোগদান করেননি তাঁরা হলেন স্বপন দাশগুপ্ত, ভারতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গোগোই, এবং চ্যাম্পিয়ান বক্সার মেরি কম।
রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, স্বপন দাশগুপ্ত সংসদের ভেতরে ও বাইরে বিজেপি সদস্যের মতো আচরণ করেও আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কেন নির্দলীয়, তা রহস্যই বটে। যিনি বিজেপির টিকিটে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তাঁর তো অবশ্যই পরিবর্তন করা উচিৎ।