আইসিএমআরের গাফিলতিতে ভারতের লকডাউন বিশ বাঁও জলে
আইসিএমআরের গাফিলতিতে ভারতের লকডাউন পুরো জলে গেল। যখন আইসিএমআর মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে করোনা পরীক্ষার জন্য লক্ষ লক্ষ র্যাপিড টেস্ট কিটের অর্ডার দেয়, তখনই মার্কিন সংস্থা বায়োমেডমিক্স দামের কোট দেওয়ার পাশাপাশি জানায় এই অল্প সময়ে এই বিপুল কিটের জোগান দেওয়ার সমস্যার কথা। এই সংস্থা পৃথিবীতে প্রথম ফেব্রুয়ারি মাসে তাদের কিট তৈরী করে বিভিন্ন দেশে রপ্তানি শুরু করে।
আইসিএমআরের গাফিলতিতে ভারতের লকডাউন পুরো জলে গেল। যখন আইসিএমআর মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে করোনা পরীক্ষার জন্য লক্ষ লক্ষ র্যাপিড টেস্ট কিটের অর্ডার দেয়, তখনই মার্কিন সংস্থা বায়োমেডমিক্স দামের কোট দেওয়ার পাশাপাশি জানায় এই অল্প সময়ে এই বিপুল কিটের জোগান দেওয়ার সমস্যার কথা। এই সংস্থা পৃথিবীতে প্রথম ফেব্রুয়ারি মাসে তাদের কিট তৈরী করে বিভিন্ন দেশে রপ্তানি শুরু করে।
যখন আইসিএমআর মার্চের ২৭ তারিখ প্রোকিওরমেন্ট লেটার ছাড়ে ও ২৮ তারিখ ভেন্ডরদের লেটার পাঠায়, বায়োমেডমিক্স সেই তালিকায় ছিল না। বায়োমেডমিক্সের ৫ লক্ষ কিট আইসিএমআর এমন একটি সংস্থার কাছ থেকে কেনার বরাত দেয় যাদের ঐ কোম্পানির মাল বিক্রী করার অনুমোদনই নেই। ৪ঠা এপ্রিল আইসিএমআরকে মার্কিন সংস্থা অভিযোগ জানায় কিন্তু তাদের তরফে কোনও উত্তর দেওয়া হয় না। তারা এও বলে তারা ৫ লক্ষ কিট কোনোভাবেই ভারতে পাঠায়নি।
আইসিএমআর সেই ভারতীয় সংস্থাকে বলে দুটি চীনা সংস্থা থেকে বাকি কিট কিনতে। নির্ধারিত সময়ের পরে এগুলো এসে পৌঁছয়। পরে জানা যায় চীনা সংস্থাটি যে কিট ২৪৫ টাকায় ভারতীয় সংস্থাকে বিক্রী করেছে, সেই সংস্থা আইসিএমআরকে ঐ কিট বিক্রী করেছে ৬০০ টাকায়।

২৭ এপ্রিল আইসিএমআর সমস্ত রাজ্য সরকারকে জানায় ঐ কিট ব্যবহার না করতে এবং তারা ঐ কিটের কোনও টাকাও দেবে না রাজ্যকে। এতে ২৪ মার্চ থেকে চলা ভারতব্যাপী লকডাউন পুরো বৃথা হয়ে গেল। ১৩৩টি দেশের মধ্যে মাত্র ১৮টি দেশ আছে যাদের পরীক্ষার হার ভারতের থেকে কম।
আইসিএমআরকে ৩রা ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এই রোগ মোকাবিলা করার। দু’মাস পরেও তারা সেই কাজে ব্যর্থ।