বন্যা পরিস্থিতির কারণে ক্রেতা নেই, পোশাক কিনলে লটারির কুপনে মিলছে বাইক!

ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, গত বছরের তুলনায় বিক্রি এবার তলানিতে। লক্ষ লক্ষ টাকার জামাকাপড় দোকানে তুলে তাঁরা বেকায়দায় পড়েছেন

October 2, 2024 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: এবার কেশপুর ব্লকের একাধিক গ্রামের মানুষ বন্যা পরিস্থিতির কারণে অর্থসঙ্কটে পড়েছেন। বাজারজুড়ে বস্ত্র ব্যবসায়ীরা পসরা সাজিয়ে বসেছেন। কিন্তু ক্রেতা তেমন নেই। এই অবস্থায় শাড়ি, জামাকাপড় কিনলেই বাইক সহ রকমারি নানা গিফটের কুপন পাচ্ছেন ক্রেতারা। শুধু গিফটই নয়, গরিব ও বন্যায় সব হারানো মানুষের কথা ভেবে অনেকে ক্রেতা টানতে ৫০ শতাংশ ছাড়ও দিচ্ছেন।

ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, গত বছরের তুলনায় বিক্রি এবার তলানিতে। লক্ষ লক্ষ টাকার জামাকাপড় দোকানে তুলে তাঁরা বেকায়দায় পড়েছেন। মানুষের সমস্যার কথা ভেবে নামমাত্র লাভেই জামাকাপড় বিক্রি করা হচ্ছে। কথা হচ্ছিল কেশপুর বাজারের বস্ত্র ব্যবসায়ী সইফুরা বিবির সঙ্গে। তাঁর পরিবার প্রায় ৫০ বছর ধরে ব্যবসা করছেন। তিনি বলেন, এবছর বাজারের হাল খারাপ। বন্যা পরিস্থিতিতে গ্রামের অর্থনীতি একেবারে ভেঙে পড়েছে। অন্য সময় যে শাড়িটা ৫০০ টাকায় বিক্রি করি, এবার সেটাই ২০০টাকায় বিক্রি করছি। যাতে সাধারণ মানুষ কিনতে পারেন।

টানা বৃষ্টি ও বন্যা পরিস্থিতির জেরে কেশপুর ব্লকে চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে বহু পরিবার সর্বস্বান্ত হয়েছে। হাতে টাকা না থাকায় অনেকেই পুজোর পোশাক কিনতে যেতে সাহস পাচ্ছিলেন না। ব্যবসায়ীরা ছাড় দেওয়ায় তাঁদের কিছুটা সুবিধা হয়েছে। এদিন কেশপুর বাজারে পুজোর জামাকাপড় কিনতে এসেছিলেন বিশ্বনাথপুরের বাসিন্দা শ্যামল মণ্ডল। তিনি বলেন, চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। খুব সমস্যায় পড়েছি। তবে পুজো তো সারাবছরে একবারই আসে। এসময় নতুন জামাকাপড় কিনতে সবারই ইচ্ছে করে। বাজারে এসে দেখলাম, দাম অনেকটাই সাধ্যের মধ্যে। ব্যবসায়ীরা দাম কমানোয় আমাদের খুব সুবিধা হয়েছে। কিছু অন্তত কেনা যাচ্ছে। নইলে এবার পুজোটা মাটি হয়ে যেত।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen