বিদেশে রপ্তানি বেড়ে যাওয়ায় দেশে চালের দাম বাড়ছে, নাজেহাল সাধারণ মানুষ

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ২০২৪ লোকসভা ভোটের আগে বিদেশে চাল রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করেছিল কেন্দ্র। দেশের বাজারে দাম কমানোই ছিল তার উদ্দেশ্য। ভোট মিটতেই উঠে গিয়েছে সেই নিষেধাজ্ঞা, এমনকী চাল রপ্তানির উপর করও তুলে দিয়েছে কেন্দ্র। তাতে চালের বিদেশি বাজার আরও উন্মুক্ত হয়ে গিয়েছে। বিদেশে রপ্তানি বেড়ে যাওয়ায় দেশের বাজারে চাহিদার তুলনায় জোগান কমে গিয়েছে। ফলে খোলাবাজারে চালের দাম বেড়ে গিয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের এখন হিমশিম অবস্থা।
কয়েক মাসের মধ্যে প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে ১০ টাকা! যে মিনিকিট চাল খুচরো বাজারে ৫০ টাকায় মিলত তার দাম এখন ৬০ টাকার মতো। ৭০ টাকার বাঁশকাঠি চাল ৮০ টাকাও ছুঁয়েছে। চালের দামবৃদ্ধির কারণগুলির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি হল প্রচুর পরিমাণে বিদেশে রপ্তানি। পশ্চিমবঙ্গের চালও পাশের বাংলাদেশ ছাড়াও যাচ্ছে আরব-সহ এশিয়ার কিছু দেশে এবং আফ্রিকায়।
বিদেশে বেশি পরিমাণে চাল রপ্তানির ফলে ধানের দাম বেড়েছে। মানছেন রাজ্যের রাইস মিল মালিক সংগঠনের সভাপতি আব্দুল মালেক। তিনি জানান, সরু চাল তৈরির ধানের দাম কয়েকমাস আগেও ছিল প্রতি কুইন্টাল ২২০০ টাকা। তা এখন বেড়ে হয়েছে ২৮০০-৩০০০ টাকা। সরু চালের দামবৃদ্ধির আরও একাধিক কারণ রয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
আব্দুল মালেক আরও জানান, বাঁশকাঠি, মিনিকিট প্রভৃতি চাল তৈরি হয় বোরো মরশুমের ধান থেকে। ওই ধান ওঠে এপ্রিল-মে নাগাদ। গত বোরো মরশুমে যে ধান উঠেছিল তার মজুত শেষের মুখে। নতুন বোরো ধান ওঠার পরই সরু চালের দাম কিছুটা কমবে বলে আশা করা যায়। খরিফ মরশুমের চাষের দরুন শীতকালে যে নতুন স্বর্ণ, রত্না প্রভৃতি প্রজাতির ধান উঠেছে, তা থেকে তৈরি হয় মোটা চাল। বিদেশে বিশেষ করে বাংলাদেশে স্বর্ণ ধানের চাল যাচ্ছে। তাই খোলাবাজারে প্রতি কুইন্টাল স্বর্ণ ধানের দর এখন ২২০০ টাকার মতো, যা গতবছরের এইসময়ের তুলনায় বেশিই।