চম্পাহাটিতে নজিরবিহীনভাবে ভোটদাতার বৃদ্ধির জের, ‘ভুতুড়ে ভোটার’ রুখতে তৎপর নবান্ন, কড়া নির্দেশ জেলাশাসকদের

একাধিক দপ্তরের সচিব সহ সমস্ত জেলাশাসকদের নিয়ে প্রায় আড়াই ঘণ্টা বৈঠক করেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ।

February 23, 2025 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi
চম্পাহাটিতে নজিরবিহীনভাবে ভোটদাতার বৃদ্ধির জের, ‘ভুতুড়ে ভোটার’ রুখতে তৎপর নবান্ন, কড়া নির্দেশ জেলাশাসকদের

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দিল্লি, মহারাষ্ট্রে ভুতুড়ে ভোটার বৃদ্ধির অভিযোগ করেছিলেন বিরোধীরা। বাংলাতেও এমন চেষ্টা হচ্ছে অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে চম্পাহাটি পঞ্চায়েতে। দেখা গেল, লোকসভা ভোটের পর মাত্র সাত মাসেই গ্রামীণ এলাকার ভোটার বেড়েছে প্রায় সাড়ে চার হাজার। তাঁরা চম্পাহাটির বাসিন্দা নন। উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জেলার মানুষের নাম উঠেছে তালিকায়। এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।

উল্লেখ্য, বাজেট অধিবেশনে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, মহারাষ্ট্র ও দিল্লির মতো বুথ স্তরে ‘ভুয়ো ভোটারে’র অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে কারচুপির ছক কষছে ‘ভূতুড়ে পার্টি’। ব্যাপক মাত্রায় বহিরাগতদের নাম ভোটার তালিকায় ঢুকিয়ে বুথস্তর থেকে ফলাফল নিজের পক্ষে করতে মরিয়া তারা। তারপরই প্রকাশ্যে আসে চম্পাহাটির ঘটনা। ভোটার তালিকায় নাম সংযোজন, সংশোধনী, যাবতীয় কাজের দায়িত্বে থাকে জেলা প্রশাসন। ভোটার তালিকায় এমন ভুতুড়ে ভোটারের অনুপ্রবেশ রুখতে, শনিবার বৈঠকে বসেছিল নবান্ন। নবান্নের তরফে প্রত্যেক জেলা প্রশাসনকে কড়া বার্তা দেওয়া হয়।

প্রশাসনের সাফ বার্তা, কোনও আধিকারিকদের মদত ছাড়া এমন ঘটনা সম্ভব নয়। এই দুর্নীতির সঙ্গে কেউ জড়িত প্রমাণিত হলে, প্রশাসনের সেই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। এবার থেকে কেউ ভোটার লিস্টে নাম তোলার আবেদন জানালে, তাঁর বাড়িতে গিয়ে সরেজমিনে যাচাই পর্ব চালিয়ে তবে নাম তোলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ভোটার তালিকার কাজ সরাসরি নির্বাচন কমিশনের বিষয় হলেও, নবান্নের তরফে জেলার সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সতর্ক করে দেওয়া হল। একাধিক দপ্তরের সচিব সহ সমস্ত জেলাশাসকদের নিয়ে প্রায় আড়াই ঘণ্টা বৈঠক করেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। বৈঠকে রাজ্যের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen