জয়পুরের ময়নাপুরে জমিদারবাড়ির দুগ্গা পুজোয় কোন কোন নিয়ম মানা হয়?

চণ্ডীচরণবাবু বিয়ের দীর্ঘদিন পর পুত্রসন্তান লাভ করেন। সেই আনন্দে ১৭৯১ সালে তিনি মাটির ঘর তৈরি করে দুর্গাপুজো করেন

October 4, 2024 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মল্লরাজা চৈতন্য সিংহের দেওয়ান ছিলেন চণ্ডীচরণ মুখোপাধ্যায়। প্রায় ২৩২ বছর আগে তিনি জয়পুরের ময়নাপুরে জমিদারবাড়িতে পুজোর প্রচলন করেছিলেন। আগের ন্যায় জৌলুস না থাকলেও, নিষ্ঠাভরে পুজোর আয়োজন করেন ময়নাপুরের মুখোপাধ্যায় পরিবার।

জানা গিয়েছে, ময়নাপুরের মুখোপাধ্যায় পরিবারের আদিনিবাস ছিল হুগলিতে। চণ্ডীচরণবাবু বিয়ের দীর্ঘদিন পর পুত্রসন্তান লাভ করেন। সেই আনন্দে ১৭৯১ সালে তিনি মাটির ঘর তৈরি করে দুর্গাপুজো করেন। পরবর্তীকালে চণ্ডীমণ্ডপ তৈরি হয়। সেই চণ্ডীমণ্ডপ আজও অক্ষত রয়েছে।

আগে এ বাড়িতে জিতাষ্টমীর দিন থেকে পুজো শুরু হত। পরিচালনার অভাবে এখন তা সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। বর্তমানে পঞ্চমী থেকে পুজো শুরু হয়। পুজোয় ছাগল বলি হত। কয়েকবছর আগে তা বন্ধ করা হয়। এখন ছাঁচি কুমড়ো ও আখ বলি হয়। পরিবারের খুদে সদস্যরা ছাগবলির রক্ত দেখে ভয় পেত। তাই পরবর্তীকালে তা বন্ধ করা হয়েছে। মুখোপাধ্যায় বাড়ির পুজো দেখতে ময়নাপুরের বাসিন্দারা ছাড়াও আশেপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে দর্শনার্থীরা আসেন।

এ বাড়িতে দেবীর সঙ্গেই থাকে জয়া-বিজয়া। চণ্ডীচরণের পুত্র কালীপ্রসাদের লেখা পুঁথি অনুযায়ী আজও পুজো হয়। ষষ্ঠীতে দেবীর বোধনের পর সপ্তমীতে হাকন্দপুষ্করিণীতে নবপত্রিকা স্নান করানো হয়। ষষ্ঠীতে হোম শুরু হয়, নবমীতে পূর্ণাহুতির মধ্যে দিয়ে শেষ হয়। অক্ষয় প্রদীপ জ্বালানো হয়। সন্ধিপুজোয় ১০৮টি প্রদীপ জ্বালানো হয়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen