ডুরান্ড ফাইনাল ২০২৩: ডার্বির আগে কী বলছেন দুই শিবিরের কোচ?
দেশি রেফারিদের খেলালে এখানকার রেফারিদের মান বাড়বে। দিনের শেষে ওরাও মানুষ। ওদেরও অনেক চাপের মধ্যে খেলাতে হয়।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ডুরান্ড কাপের ফাইনালে, আজ চলতি মরশুমের দ্বিতীয় ডার্বিতে ফের মুখোমুখি হতে চলেছে কলকাতার দুই প্রধান মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট এবং ইমামি ইস্টবেঙ্গল। মরশুমের প্রথম ডার্বিতে মোহনবাগানকে হারিয়ে দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। ১৬৫৭ দিন পর ডার্বি জিতে আত্মবিশ্বাসী ইস্টবেঙ্গল।
যুবভারতীতে বসে বৃহস্পতিবার মোহনবাগানের জয় দেখেছিলেন ইস্টবেঙ্গলের কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। সহকারী কোচ দিমাস দেলগাদোসহ চার বিদেশি ফুটবলার ছিলেন তাঁর সঙ্গে। মাঠে বসেই মোহনবাগানের শক্তি ও দুর্বলতা মেপে নিয়েছেন কুয়াদ্রাত। ডুরান্ড কাপের ফাইনালের প্রতিপক্ষকে মেপে নেওয়াই ছিল ইস্টবেঙ্গলের কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের কাজ। খেলা চলাকালীন বেশ কিছু নোট নিতে দেখা গিয়েছে কুয়াদ্রাতকে। ম্যাচ শেষে কুয়াদ্রাত বলেছিলেন, ‘শেষ পর্যন্ত খেলা দেখলাম। অন্তিম পর্বেও অনেক কিছু ঘটতে পারে। ফাইনালে ডার্বি হওয়ায় ভালোই লাগছে। ফুটবলপ্রেমীরা উপভোগ্য ম্যাচ দেখতে পাবেন।’
ফাইনালে প্রসঙ্গে লাল-হলুদ কোচ কুয়াদ্রাত বলছেন, ডুরান্ডের প্রথম ম্যাচে যে মোহনবাগানকে দেখেছিলেন এই দল তার থেকে আলাদা। ওই ম্যাচের পর মোহনবাগান অনেক ম্যাচ খেলেছে। ডুরান্ড, এএফসি কাপের ম্যাচ খেলেছে। দলের কৌশলও অনেক বদলে গিয়েছে। মোহনবাগান কোচ দলের মানসিকতা বদলে দিতে চাইছে। তবে অনেক ম্যাচেই মোহনবাগান খুব কম ব্যবধানে জিতেছে। কখনও একটা পেনাল্টি থেকে খেলার মোড় ঘুরে গিয়েছে। তবে মোহনবাগানের খেলা ভোঁতা করার জন্যে ইটসবেঙ্গলের হাতেও অস্ত্র রয়েছে।
রেফারি প্রসঙ্গে কোচ কুয়াদ্রাত বলেন, রেফারিদের নিয়োগ করা তো তাঁদের হাতে নেই। কোচ হিসাবে নিজেদের কাজ করার চেষ্টা করছেন। রেফারিদের কাজ ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ রাখা। তবে কিছু বলতে হলে বলব, আইএসএলে অনেক ম্যাচেই বিদেশি রেফারি দেখেছি। সাধারণত বিদেশি রেফারিরা এলে এখানকার চাপের সঙ্গে সড়গড় থাকে না। কিন্তু দেশি রেফারিদের খেলালে এখানকার রেফারিদের মান বাড়বে। দিনের শেষে ওরাও মানুষ। ওদেরও অনেক চাপের মধ্যে খেলাতে হয়।
ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ফাইনাল ম্যাচ খেলা নিয়ে জুয়ান ফেরান্দো জানিয়েছিলেন, তাঁর কাছে সবচেয়ে বড় বিষয় হল ফাইনালের আগে ফুটবলারদের দ্রুত সুস্থ হওয়া। ফাইনালের ডার্বিকে তিনি বদলার ম্যাচ হিসেবে দেখছেন না। ফাইনালে উঠেই মোহনবাগানের কোচ জুয়ান ফেরান্দো বলেছিলেন, ‘ডার্বি কোনও বদলার নয়। কারণ, এটা প্রি-সিজন। আমাদের সামনে আইএসএল, এএফসি কাপও রয়েছে। তার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। সমর্থকদের কাছে অবশ্যই ডার্বি আকর্ষণীয়।’
ঘন ঘন ম্যাচের জন্য প্রস্তুতিতে যে ব্যাঘাত ঘটছে, সেকথাও বলেছেন মোহনবাগান কোচ জোয়ান ফেরান্দো। ডার্বির একেবারে প্রাক্কালে তিনি বলছেন, অতীতের কথা ভাবছেন না। এটা বর্তমান। প্রত্যেক ম্যাচ কঠিন। খুব গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বে পৌঁছেছে মোহনবাগান। ডুরান্ড কাপের ফাইনালে উঠেছে। ফাইনালে তাঁরা সেরা ফুটবল খেলার চেষ্টা করবেন।