জানুয়ারির মধ্যেই উদ্বোধন রাজারহাটের নতুন তীর্থ ‘দুর্গাঙ্গন’, ঘোষণা মমতার

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২১:০০: রাজারহাটে তৈরি হচ্ছে নতুন তীর্থক্ষেত্র ‘দুর্গাঙ্গন’। দীঘার জগন্নাথ ধামের আদলে কলকাতায় এই প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে। চার মাসের মাথায় বনগাঁর সভা থেকে তিনি জানালেন, ইকো টুরিজম পার্কের (Eco Tourism Park) ঠিক বিপরীতে গড়ে উঠবে এই আকর্ষণীয় অঙ্গন। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, জমি ইতিমধ্যেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। ডিসেম্বর বা জানুয়ারির মধ্যেই উদ্বোধন হবে দুর্গাঙ্গন, যা ৩৬৫ দিন খোলা থাকবে এবং জগন্নাথ ধামের মতোই পর্যটকদের মন কাড়বে।
দীঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের পর পর্যটকের ভিড় বেড়ে যাওয়ায় প্রশাসন ও পর্যটন দপ্তর উৎসাহিত হয়েছিল। সেই সাফল্যের মডেলকেই সামনে রেখে রাজারহাটে নতুন তীর্থক্ষেত্রের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সভায় মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যজুড়ে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে সরকারের উদ্যোগগুলির দীর্ঘ তালিকা তুলে ধরেন। তিনি উল্লেখ করেন বনগাঁর ঠাকুর পরিবার থেকে অনুকুল ঠাকুরের জমি সমস্যা সমাধান, কচুয়া, তারাপীঠ, তারকেশ্বর, কঙ্কালীতলা, বক্রেশ্বরের সংস্কার, ফুরফুরা শরিফের উন্নয়ন, কালীঘাট ও দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াক নির্মাণ এবং শিলিগুড়িতে মহাকাল মন্দির তৈরির কাজ।
বক্তৃতার মাঝেই বিজেপিকে (BJP) কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা জাতপাত করি না। ভোটের সময় ওরা তফসিলি ভোট চায়, পরে অত্যাচার করে তাকিয়ে দেখেও না।” তিনি জানান, তাঁর বাড়িতে তফসিলি পরিবারের মেয়েরা কাজ করেন এবং তাঁদের মানুষ করেছেন, চাকরি দিয়েছেন, বিয়ে দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, “মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখা আসল। ওদের নেতারা কি পারবেন?”