দুর্গাপুর কাণ্ড: রাজসাক্ষী হতে আর্জি দুই অভিযুক্তের, মঙ্গলে গোপন জবানবন্দি গ্রহণ

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১২:৪৫: দুর্গাপুর কাণ্ডে নয়া মোড়! দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিকেল কলেজের পড়ুয়াকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া দুই অভিযুক্ত শেখ রিয়াজুদ্দিন ও সফিক শেখ রাজসাক্ষী হতে চেয়েছে আবেদন করেছে। তদন্তকারী অফিসারের কাছে ইতিমধ্যেই তারা ঘটনার বিবরণ দিয়েছে। বিচারকের কাছে গোপন জবানবন্দি হিসেবে তা জানাতে চায় দুই অভিযুক্ত।
রবিবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয় দুই অভিযুক্তকে। কিন্তু বিচারক না-থাকায় গোপন জবানবন্দি নেওয়া যায়নি। আজ, সোমবার কালীপুজোর ছুটি। মঙ্গলবার ফের তাদের আদালতে তোলা হবে। সেদিন যদি তারা গোপন জবানবন্দি দেয়, তাহলে রাজসাক্ষী বলে চিহ্নিত হবে দুই অভিযুক্ত।
উল্লেখ্য, ১০ অক্টোবর রাতে দুর্গাপুরের শোভাপুরে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের পড়ুয়াকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। পুলিশ দুদিনের মধ্যেই মোট ছ’জনকে গ্রেপ্তার করে। প্রথমে ধরা পড়েন শেখ রিয়াজুদ্দিন, ফিরদৌস শেখ ও অপু বাউরি। পরে গ্রেপ্তার হয় শেখ নাসিরুদ্দিন ওরফে সম্রাট ও সফিক শেখ। নির্যাতিতার সহপাঠী ওয়াসিফ আলিকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তদন্তে প্রকাশ্যে আসে, মেডিকেল কলেজের পাশে পরাণগঞ্জের জঙ্গলে সহপাঠীর সঙ্গে যায় যুবতী। সেখানে তিন যুবক তাদের ধরে। সহপাঠী যুবতীকে একা ফেলে পালিয়ে আসে। যুবতীর উপর নির্যাতন চালানো হয়। আরও দুই দুষ্কৃতী আসে পরে। টাকা দিলে মোবাইল ফেরত দেওয়া হবে বলে জানায় তারা। নির্যাতিতা তরুণী তাঁর সহপাঠীকেও ঘটনায় অভিযুক্ত করেছেন।
জানা গিয়েছে, যারা টাকা চায় তাদের মধ্যে অন্যতম রিয়াজুদ্দিন। সূত্রের খবর, সে সরাসরি মহিলাকে নির্যাতন করেনি। পুলিশের কাছে পুরো ঘটনাটি বর্ণনা করেছিল সে। তারপরই পুলিশ তাকে রাজসাক্ষী হওয়ার প্রস্তাব দেয়। তাতে সে রাজি হয়। সফিক শেখও গোপন জবানবন্দি দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে। তড়িঘড়ি দুই অভিযুক্তকে নিয়ে আদালতে পৌঁছয় পুলিশ। তবে ছুটি থাকায় কাজ হয়নি। মঙ্গলবার ফের তাদের আনা হবে। দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া শেষ করতে এই জবানবন্দি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে।