দুর্গাপুর কাণ্ড: গণধর্ষণ নয়, ধর্ষক একজনই! ধৃত পাঁচজনের DNA পরীক্ষা করাল পুলিশ

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ১৫:৩০: বুধবার, দুর্গাপুর কাণ্ডের নির্যাতিতার সহপাঠীকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হল। ধৃত পাঁচ জনেরই ডিএনএ পরীক্ষা করিয়ে ফেলেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সিপি সুনীলকুমার চৌধুরী জানিয়েছিলেন, নির্যাতিতার সহপাঠীও সন্দেহের ঊর্ধ্বে নন। তাঁকে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কয়েকঘণ্টা পরই গ্রেপ্তার করা হয় নির্যাতিতার সহপাঠীকে। অন্যদিকে, জানা যাচ্ছে নির্যাতিতার গণধর্ষণ হয়নি।
মঙ্গলবার দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনার সুনীল চৌধুরী বলেন, “নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, তাঁকে একজন ধর্ষণ করেছে। বাকিদের ভূমিকা কী, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
উল্লেখ্য, ১০ অক্টোবর সহপাঠী-বন্ধুর সঙ্গে ক্যাম্পাসের বাইরে বেরিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ডাক্তারি ছাত্রী। ঘটনায় পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পাঁচ জনেরই ডিএনএ পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে। তদন্তকারীরা এখন রিপোর্টের অপেক্ষায় আছেন। নির্যাতিতার বাবা পুলিশের কাজে গাফিলতির কথা বলেননি।
মঙ্গলবার নির্যাতিতা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দেন, এরপর পুলিশ ওই সহপাঠীকে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে। তারপরই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ উঠছে, সহপাঠী যুবক প্রথমে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছিল নির্যাতিতার। কিন্তু সেই ঘটনা বার বার লুকোতে চেয়েছেন নির্যাতিতা। নতুন সন্দেহ তৈরি হয়েছে পুলিশের কাছে।
অন্যদিকে, নির্যাতিতার সহপাঠীর পক্ষে আদালতে দাঁড়াতে অস্বীকার করেছেন স্থানীয় আইনজীবীরা। বুধবার, অভিযুক্তকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়।
দুর্গাপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দেবব্রত সাঁই জানিয়েছেন, এমন জঘন্য অপরাধের অভিযুক্তদের হয়ে কেউ আদালতে লড়বেন না।