DVC জল ছাড়ায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরাচ্ছে প্রশাসন

বাঁকুড়ার সোনামুখী, হুগলির আরামবাগ মহকুমা, হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর নিয়ে উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে। দামোদর, মুণ্ডেশ্বরী, দ্বারকেশ্বর, সুবর্ণরেখা, শিলাবতী, কংসাবতীর জলস্তর দ্রুত বাড়ছে।

October 4, 2023 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: অবশেষে আশঙ্কাই সত্যি হতে আরম্ভ করল! ডিভিসির থেকে জল ছাড়ায় দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়ার বিস্তীর্ণ অংশ জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। বিপুল পরিমাণ চাষের জমি তলিয়ে গিয়েছে। ঘাটাল মহকুমার সিংহভাগ এলাকা প্লাবিত। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর, সবং, দাঁতন, কেশিয়াড়ি ও ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর, সাঁকরাইলের পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। সবংয়ে প্রায় ২০০টি গ্রাম ইতিমধ্যেই জলের তলায় চলে গিয়েছে। বাঁকুড়ার সোনামুখী, হুগলির আরামবাগ মহকুমা, হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর নিয়ে উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে। দামোদর, মুণ্ডেশ্বরী, দ্বারকেশ্বর, সুবর্ণরেখা, শিলাবতী, কংসাবতীর জলস্তর দ্রুত বাড়ছে।

সোমবার থেকে ডিভিসির বেশি মাত্রায় জল ছাড়ছে, হুগলি-হাওড়ার নিম্ন দামোদর অববাহিকা অঞ্চলে সেই জল পৌঁছবে আজ বা আগামীকাল। আশঙ্কা করা হচ্ছে, তখন এই দুই জেলায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। উত্তরবঙ্গের নদীগুলিতেও জল বাড়তে শুরু করেছে।
রাজ্য প্রশাসন তৎপর। নবান্ন সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত প্রায় ২৩০০ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরানো হয়েছে। রাতের মধ্যে প্রায় ১০ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়ায় ৩৫টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। ত্রিপলসহ অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হচ্ছে।দুর্গত এলাকায় গিয়ে জেলার শীর্ষ আধিকারিকরা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন।

আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাসে আরও চিন্তা বাড়ছে। মঙ্গলবার বিভিন্ন জেলায় প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে।হাওয়া অফিস জানিয়েছে, নিম্নচাপটি ছত্তিশগড় সংলগ্ন ঝাড়খণ্ডের দিক থেকে দক্ষিণ ঝাড়খণ্ডের দিকে সরে এসেছে। যার প্রভাবে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। শুক্রবার থেকে বৃষ্টি কমতে পারে। আগামী দু’দিন রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল ও উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলা ছাড়াও পূর্ব বর্ধমান, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, নদীয়া জেলায় বেশি বৃষ্টি হতে পারে। নাগাড়ে বৃষ্টি চললে অবস্থার অবনতির আশঙ্কা রয়েছে।

ডিভিসি জানিয়েছে, দামোদর ও বরাকর নদীর অববাহিকা অঞ্চলে ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অতিবৃষ্টির জেরে মা‌ইথন ও পাঞ্চেত বাঁধে প্রচুর জল নেমে আসে। এই দুই বাঁধ থেকে যাবতীয় নিয়ম মেনেই জল ছাড়া হচ্ছে। সোমবার রাতে জল ছাড়ার হার ছিল ১ লক্ষ ৩০ হাজার কিউসেক। মঙ্গলবার কমিয়ে ৬৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen