বৈদেশিক মুদ্রা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ED-র নোটিশ বামশাসিত কেরলের মুখ্যমন্ত্রীকে
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১২:১২: এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের নোটিস পেলেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন (Pinarai Vijayan)। জানা যাচ্ছে, ২০১৯ সালের মশলা বন্ডে আর্থিক অনিয়মের তদন্তে এই নোটিশ জারি করা হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, তার ব্যক্তিগত সচিব কেএম আব্রাহাম এবং প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী থমাস আইজ্যাককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
৪৬৬ কোটি টাকার ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট (ফেমা) অনুযায়ী শোকজ নোটিশে বিজয়ন বা অন্যদের ব্যক্তিগত উপস্থিতির প্রয়োজন নেই। প্রায় ১০-১২ দিন আগে এই নোটিশ দিয়েছে বলে খবর। কেআইআইএফবি ২০১৯ সালের মার্চ মাসে মশলা বন্ডের মাধ্যমে প্রায় ২,১৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। ২০১৯-র ১ এপ্রিল, লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জের আন্তর্জাতিক সিকিউরিটিজ মার্কেটে এটি তালিকাভুক্ত হয়। বন্ডের মাধ্যমে সংগৃহীত টাকার ব্যবহার এবং ফেমা-র নিয়ম ভাঙার অভিযোগে নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী থমাস আইজ্যাক এই নোটিশকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ২০২০ সাল থেকে একের পর এক নির্বাচনের আগে বার বার ইডি ‘মশলা বন্ড’কে ব্যবহার করেছে বামেদের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, মশলা বন্ডের ছাড়পত্র দেওয়ার দায়িত্ব ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের। সব পদক্ষেপ আরবিআইয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে হয়েছে। তাঁর দাবি, বন্ডের টাকা ব্যবহার করে কখনও জমি কেনা হয়নি। জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।
সিপিআই(এম)-র রাজ্য সম্পাদক এমভি গোবিন্দন ইডি-র নোটিশকে “একটি রাজনৈতিক খেলা” বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁর দাবি, ২০২০ সালের স্থানীয় নির্বাচনের সময় ইডি নোটিশ দেয়। এরপর ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচন এবং ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময়ও নোটিশ দেয়। এটা রাজনৈতিক খেলা।” একের পর এক বিরোধীর অভিযোগ, ইডিকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে বিজেপি। বামেরাও তা-ই বললেন। কিন্তু বঙ্গের বামেরা তৃণমূলের কেউ ইডির নোটিশ পেলে উচ্ছ্বসিত হন। রাজনৈতিক কারবারিদের মতে, বাংলায় ইডি ভাল আর কেরলে ইডি খারাপ, এ দ্বিচারিতা বই কিছুই নয়।