লকডাউনে বিপর্যস্ত ঈদের বাজার

প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের মুখে টিপু সুলতান মসজিদের অনতিদূরে ছোট চায়ের দোকান শেখ আনসারির। ফি বছর ঈদের আগে সেই দোকানের পাশেই বসান হরেক কিসিমের সিমাইয়ের পসরা। কিন্তু এবছর লকডাউনের জেরে সেই সিমাইয়ের ব্যবসা আর হয়ে ওঠেনি, বলছিলেন আনসারি।

May 15, 2020 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের মুখে টিপু সুলতান মসজিদের অনতিদূরে ছোট চায়ের দোকান শেখ আনসারির। ফি বছর ঈদের আগে সেই দোকানের পাশেই বসান হরেক কিসিমের সিমাইয়ের পসরা। কিন্তু এবছর লকডাউনের জেরে সেই সিমাইয়ের ব্যবসা আর হয়ে ওঠেনি, বলছিলেন আনসারি। 

নিউমার্কেটের ফুটপাতেই কাপড়ের ব্যবসা মহম্মদ আয়ুব, রাজেশ মিশ্র, শেখ সোহেলদের। এই লকডাউন পর্বে শুনশান নিউমার্কেট চত্বর, ব্যবসা চৌপাট। শেখ সোহেলের কথায়, ঈদের আগে এই একটা মাস দিনে কমবেশী দেড় থেকে দু’হাজার টাকা মুনাফা হয়। এবার পুরোটাই শূন্য। পরিবারের জন্য ঈদের কেনাকাটা ছাড়ুন, সংসার চালানোই এখন দায় হয়ে পড়ছে। 

লকডাউনে বিপর্যস্ত ঈদের বাজার

বাংলা নববর্ষের আগে চৈত্র সেল কিংবা ঈদের বাজার—ধর্ম যাই হোক, আনন্দটাই আসল। এবছর লকডাউন সেদিক থেকে দুই ধর্মের মানুষকেই একইভাবে সমস্যায় ফেলেছে, বলছিলেন রাজেশ। সমানভাবে সমস্যায় পড়েছেন হাফিজরা। রমজান মাসে মাদ্রাসাগুলি বন্ধ থাকায় হাফিজরা বিভিন্ন মসজিদ এবং মহল্লায় গিয়ে তারাবীহ নামাজ পড়ান। কোথাও দিন পনেরো কোথাওবা ২৭ দিনে কোরান শরিফ পাঠ শেষ করেন। 

হাফিজরা প্রতি বছর রমজান মাসে এই বাড়তি দায়িত্ব পালনের জন্য অতিরিক্ত চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা রোজগার করেন। কিন্তু এবছর তাঁদের সেই রোজগারে টান পড়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen