“হয় অভিযোগ প্রমাণ করুন, নয়তো ক্ষমা চান”, অমিত শাহকে বলল তৃণমূল কংগ্রেস
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে, দাবি করলেন তৃণমূল সাংসদ তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে, দাবি করলেন তৃণমূল সাংসদ তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গ সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজেদের রাজ্যে ফেরানোর জন্যে ট্রেনের ব্যবস্থা করার অনুমতি দিচ্ছে না, এই কথা বলেন অভিষেক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী “ঝুড়ি ঝুড়ি মিথ্যে অভিযোগ” করেছেন বলে পাল্টা অভিযোগ করেন ওই তৃণমূল সাংসদ। মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো বলেন, কেন্দ্রের কারণেই এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকদের। এতদিন তাঁদের ভাগ্যের হাতে ফেলে রেখেছিল কেন্দ্র, এখন তারা কথা বলছে। “এই সঙ্কটের সময়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নিজের দায়িত্ব পালনে পুরোপুরি ব্যর্থ। এতদিন চুপচাপ থেকে এবার একগাদা মিথ্যা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন তিনি!”, এই অভিযোগই করেন অভিষেক গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি টুইটে লেখেন,”এতদিন এই মানুষদেরই আক্ষরিক অর্থে তাঁদের নিজেদের ভাগ্যের হাতে ফেলে রেখেছিল সরকার। শ্রী @ অমিতশাহ, আপনি আপনার অভিযোগ প্রমাণ করুন অথবা ক্ষমা চান”।

লকডাউনের ফলে বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতেই গত ১ মে থেকে “শ্রমিক ট্রেন” চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ওই বিশেষ ট্রেন চালিয়ে বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়া মানুষজনকে তাঁদের নিজেদের রাজ্যে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে কেন্দ্র জানিয়েছে, রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের পারস্পরিক সহযোগিতায় ওই আয়োজন করা হয়েছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবহণের জন্য পরিচালিত বিশেষ ট্রেনের ক্ষেত্রে রেলের ভাড়া বাবদ ৮৫ শতাংশ ভর্তুকি দেবে কেন্দ্র এবং বাকি ১৫ শতাংশ রাজ্য সরকারগুলোকে দিতে হবে, দেওয়া হয় এই প্রস্তাব।
সেই প্রস্তাবে সায় দিয়েই বিভিন্ন রাজ্যের সরকার তাঁদের বাসিন্দাদের ফিরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নিলেও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে মাত্র দুটো ট্রেনের ব্যবস্থা করা ছাড়া আর তেমন কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ কেন্দ্রের। শনিবার এই বিষয় নিয়েই কেন্দ্রীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লেখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
ওই চিঠিতে অমিত শাহ লেখেন, কেন্দ্র আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজেদের রাজ্যে ফেরানোর বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের থেকে প্রত্যাশিত পর্যায়ে সমর্থন পাচ্ছে না। রাজ্য সরকারের কারণেই ভারতীয় রেল পরিচালিত বিশেষ “শ্রমিক ট্রেন” সে রাজ্যে পৌঁছতে পারছে না, এমন অভিযোগও তোলেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মতে এরকম করে আসলে রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে “অবিচার” করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
লকডাউনের মাঝে বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত দুই লক্ষাধিক পরিযায়ী শ্রমিককে তাঁদের নিজেদের রাজ্যে ফিরতে সহায়তা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার, দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।