চাপে পড়ে পিছু হটল নির্বাচন কমিশন, সন্দেহভাজন ভোটার শুনানিতে বড় রদবদল

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১০.১০: গত ১৬ ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা। তালিকা অনুযায়ী, রাজ্যজুড়ে প্রায় ১ কোটি ৬৬ লক্ষ ভোটারকে ‘সন্দেহভাজন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এত বিপুল সংখ্যক ভোটারকে মাত্র এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে শুনানির মুখোমুখি করানো আদৌ বাস্তবসম্মত কি না, তা নিয়েই শুরু হয় তীব্র প্রশ্ন। বিরোধীদের অভিযোগ, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাধারণ ভোটারদের অকারণে হয়রানি করা হচ্ছে।
চাপ বাড়তেই শনিবার অবস্থান বদলাতে বাধ্য হয় নির্বাচন কমিশন। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, খসড়া তালিকায় যাঁদের নাম-পদবিতে ভুল রয়েছে, তাঁদের আর সরাসরি শুনানিতে ডাকতে হবে না। সংশোধনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বুথ লেভেল অফিসারদের (বিএলও)। উপযুক্ত নথি জমা দিলেই শুনানি এড়ানো যাবে।
কমিশনের তথ্য বলছে, প্রায় ২৫ লক্ষ ভোটারের নাম-পদবি নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এই সমস্ত তথ্য বিএলও অ্যাপের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই মাঠস্তরের আধিকারিকদের কাছে পাঠানো হয়েছে। অ্যাপে যুক্ত হয়েছে নতুন ট্যাব, যার মাধ্যমে নথি আপলোড ও ঘোষণাপত্রে সই নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে প্রায় ৩০ লক্ষ ‘আনম্যাপড’ ভোটারের নথিও বিএলওদের সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে।
সমালোচকদের মতে, এতদিন কড়া অবস্থান নিয়ে ভোটারদের আতঙ্কে রাখার পর এখন চাপ সামলাতে নিয়ম শিথিল করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত এই পদক্ষেপে হয়রানি কিছুটা কমলেও, কমিশনের পরিকল্পনা ও স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।