নির্বাচন কমিশন মনে করছে পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি কেন্দ্রই আর্থিকভাবে স্পর্শকাতর
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে উদ্ধার হয়েছিল ১৮ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা।

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে উদ্ধার হয়েছিল ১৮ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা। এই অঙ্কটাই ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বেড়ে হয় ৩০০ কোটি ১১ লক্ষ টাকা। আর তাতেই নির্বাচন কমিশনের মনে হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি কেন্দ্রই আর্থিকভাবে স্পর্শকাতর।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে বাংলায় ৪৪ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছিল। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, উনিশের ভোটে অঙ্কটা বেড়ে দাঁড়ায় ১১৮ কোটি ৪ লক্ষ টাকায়। স্বাভাবিকভাবে এই ‘বৃদ্ধির হারে’র সঙ্গে বিজেপির উত্থানের যোগসূত্র খুঁজতে শুরু করে সব মহল। একুশের ভোটের পর আর ঝুঁকি নিতে চাইছে না কমিশন।
সোমবার জেলাশাসকদের সঙ্গে প্রস্তুতি বৈঠকে বসেছিল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর। সূত্রের খবর, এবার কলকাতা উত্তর, কলকাতা দক্ষিণ, আসানসোল, বনগাঁ, মালদহ দক্ষিণ, এবং দার্জিলিং-সহ সীমান্তবর্তী একাধিক লোকসভা কেন্দ্র অর্থনৈতিকভাবে অতি স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এইসব কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গায় বিপুল টাকা উদ্ধারের রিপোর্ট তো রয়েছেই, আর্থিক লেনদেনের পরিমাণও নজর করার মতো বেশি। আসানসোল, কলকাতা উত্তর, মালদহ উত্তর, মুর্শিদাবাদের একাংশ এবং দার্জিলিং কেন্দ্রকে নজরদারির আওতায় বেঁধে ফেলতে চাইছে কমিশন। দার্জিলিংয়ের মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি, ফাঁসিদেওয়া, শিলিগুড়ির একটা অংশে আবার প্রচুর পরিমাণ মদ উদ্ধারের রেকর্ডও রয়েছে।