এবার গর্ভবতী, স্তন্যদায়ী শিক্ষিকাদেরও ভোটের ডিউটি! অমানবিকতার অভিযোগ কমিশনের বিরুদ্ধে

ইতিমধ্যেই তাঁর শরীর আরও খারাপ হয়ে গিয়েছে। চিকিৎসক তাঁকে সম্পূর্ণ বেড রেস্টের পরামর্শও দিয়েছেন। সেই নথি দিয়েও কোনও রসিদ পাননি।

April 10, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

পোলিও আক্রান্ত বিশেষভাবে সক্ষম শিক্ষক ভোটের ডিউটি করেননি। তাই তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআরের হুমকি দেওয়া হয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরে (East Midnapore)। সেই বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই কোচবিহারের মাথাভাঙার এক গর্ভবতী শিক্ষিকাকে ভোটের ডিউটি করার জন্য ডাকাডাকি করা হচ্ছে ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টার থেকে।

শুক্রবার সেই ফোন পেয়ে ব্যাপক ঘাবড়ে গিয়েছেন সেই শিক্ষিকা (Teacher)। অসুস্থ অবস্থায় তিনি ভীষণ টেনশনে রয়েছেন। ওই শিক্ষিকা প্রেগন্যান্সি (Pregnancy) পরীক্ষার আগেই দু’টি প্রশিক্ষণ নিয়ে নিয়েছিলেন। মাথা ঘোরা, বমিভাব দেখে ১৮ মার্চ পরীক্ষা করে জানতে পারেন, তিনি মাসখানেকের গর্ভবতী। তখনই সেটা জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে জমা দিয়ে প্রশিক্ষণ এবং ভোটের ডিউটি থেকে অব্যাহতি চান। তবে, সেই চিঠির প্রাপ্তিস্বীকারের কোনও নথি তাঁকে দেওয়া হয়নি। পরে তিনি ই-মেলও করেন। তারও কোনও সাড়া মেলেনি।

তৃতীয় প্রশিক্ষণে উপস্থিত না হওয়ায় ৬ এপ্রিল তাঁর নামে শোকজের (Show cause) চিঠিও চলে আসে। এতে আরও ঘাবড়ে যান শিক্ষিকা। ইতিমধ্যেই তাঁর শরীর আরও খারাপ হয়ে গিয়েছে। চিকিৎসক তাঁকে সম্পূর্ণ বেড রেস্টের পরামর্শও দিয়েছেন। সেই নথি দিয়েও কোনও রসিদ পাননি। পরে ই-মেল করে দেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। তবে, টেনশনমুক্ত হতে পারেননি।

শুক্রবারও ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টার থেকে ফোন আসে। তিনি কখন আসছেন জানতে চাওয়া হয়। বলা হয়, তিনি রিজার্ভে রয়েছেন (৪ নম্বর)। সেন্টারে এসে রিপোর্ট করতে হবে। শিক্ষিকার স্বামী ফোন ধরে সব জানান। ওপার থেকে বলা হয়, আগেভাগে জানানো হয়নি কেন? এর উত্তরে বলা হয়, ডিউটি রয়েছে। তাঁর নাম কিন্তু কাটা হয়নি। ওই শিক্ষিকা বলেন, এখন আবার বিভিন্ন উপসর্গ আরও বেড়েছে। এই ফোন পেয়ে ব্যাপক টেনশনে রয়েছি।

শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চের থেকে জানানো হয়েছে, নির্বাচন কমিশন (Election Commission) থেকে এবছর এরকম অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে কেন, বোঝা যাচ্ছে না।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen