ডুয়ার্সে হাতি সাফারির চাহিদা আকাশ ছোঁয়া, অথচ হাতি নেই!

পর্যটকরা সুখবরটি আগেই পেয়ে গিয়েছিলেন।

September 29, 2023 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi
ডুয়ার্সে হাতি সাফারির চাহিদা আকাশ ছোঁয়া

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: পর্যটকরা সুখবরটি আগেই পেয়ে গিয়েছিলেন। ডুয়ার্সে পুজোর মরশুমে ফের শুরু হচ্ছে হাতি সাফারি। ২০২১ সালের শেষের দিক থেকে হাতি সাফারি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল কুনকি হাতির সংখ্যা কম থাকায়। ফলে এই বছর পর্যটকরা হাতির পিঠে চাপতে আগ্রহী। ইতিমধ্যেই খোঁজখবর নিতে শুরু করেছেন তাঁরা।

কিন্তু আকাশ ছোঁয়া চাহিদা থাকলেও বনদপ্তরের হাতে প্রশিক্ষিত হাতিই নেই! বনদপ্তর সূত্রে খবর, পর্যটকদের পিঠে চাপিয়ে জঙ্গল ঘোরাতে পারে, গোরুমারায় এমন হাতির সংখ্যা মাত্র দু’টি। আর জলদাপাড়ায় সাকুল্যে পাঁচটি। এরমধ্যে চারটি হলংয়ে। বাকি একটি চিলাপাতায়। কোনও হাতির পিঠে একবারে চারজন পর্যটক চড়তে পারেন। একটি হাতি দিনে সর্বোচ্চ তিনটি ট্রিপ করে। অর্থাৎ, একটি হাতিকে দিয়ে দিনে সর্বোচ্চ বারোজন পর্যটকের সাফারি সম্ভব। এই হিসেবে গোরুমারায় দিনে ২৪ জন এবং হলং ও চিলাপাতা মিলিয়ে ৬০ জন পর্যটক হাতি সাফারির সুযোগ পেতে পারেন। চাহিদার তুলনায় সংখ্যাটা একেবারেই নগণ্য, বলছেন উত্তরবঙ্গের টুর অপারেটররা। তাঁদের বক্তব্য, ডুয়ার্সে সাফারির জন্য খাতায়কলমে সাতটি হাতি রয়েছে ঠিকই, কিন্তু তাদের সপ্তাহে একদিন ‘ডে অফ’। সেকারণেই বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকে হাতি-সাফারি। এছাড়া মাঝেমধ্যেই হাতি অসুস্থও হয়ে পড়ে। তখন টিকিট কাটা থাকলেও বাতিল হয় সাফারি।

বনদপ্তর সূত্রে খবর, গোরুমারায় খাতায়কলমে ২৪টি হাতি রয়েছে। এরমধ্যে ৮টি শাবক। তাদের প্রশিক্ষণ চলছে। বাকিদের মধ্যে কয়েকটি অসুস্থ কিংবা বয়সের ভারে জর্জরিত। ঠিকমতো কাজ করতে পারে, এমন হাতির সংখ্যা ১২-১৪টি। সংখ্যাটা মোটেই যথেষ্ট নয়। অথচ পর্যটকরা প্রতিদিনই হাতি সাফারির টিকিটের জন্য যোগাযোগ করছেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen