ESI: বাংলার শ্রমিকদের জন্য বার্ন ইউনিট তৈরি করতে চায় না কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার
কেন্দ্রীয় কর্পোরেশন মাসে মাসে শ্রমিকদের বেতনের ০.৭৫ শতাংশ এবং মালিকপক্ষের ৩.২৫ শতাংশ অর্থ কেটে নিয়ে প্রায় ৪ শতাংশ অর্থ স্বাস্থ্য প্রকল্পের জন্য ব্যবহার করছে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১১:৪৬: রাজ্যের শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন নয় কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার। রাজ্যের একটিও ইএসআই (ESI hospital) হাসপাতালের নিজস্ব বার্ন ইউনিট (burn unit) না থাকায় বহুদিন ধরেই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আগুনে পোড়ার মতো গুরুতর ঘটনার চিকিৎসার জন্য রোগীদের প্রাইভেট হাসপাতালে পাঠাতে হচ্ছে, যার ফলে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হচ্ছে। প্রাইভেট হাসপাতাল (private hospitals) থেকে যে খরচ দাবি করা হয়, তার ভার বহন করতে হচ্ছে ইএসআইকে। অথচ নিজস্ব উন্নত বার্ন ইউনিট থাকলে একই সঙ্গে শ্রমিক পরিবারগুলো সঠিক চিকিৎসা পেত এবং খরচও কমত।
এই পরিস্থিতিতে প্রায় ২০ লক্ষ শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের সদস্য মিলিয়ে প্রায় এক কোটি মানুষের চিকিৎসার কথা ভেবেই রাজ্য শ্রমদপ্তর কেন্দ্রের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছিল। মানিকতলা ইএসআই হাসপাতালে আধুনিক বার্ন ইউনিট এবং আসানসোলে কার্ডিওলজি ক্যাথল্যাব (cathlab) গড়ার জন্য জুন মাসে আর্থিক অনুমোদন চেয়ে পাঠানো হয়েছিল ওই প্রস্তাব। বার্ন ইউনিট তৈরির জন্য অনুমান করা হয়েছিল ৪ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা এবং ক্যাথল্যাব তৈরির জন্য ৬ কোটি টাকা খরচ হবে। পরিকল্পনা ছিল প্রথমে মানিকতলায় বার্ন ইউনিট চালু করা, পরে আসানসোলে একই ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
কিন্তু কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের (Union Labour Ministry) অধীনস্থ ইএসআই কর্পোরেশন রাজ্যের পাঠানো এই প্রস্তাব পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছে। ফলে রাজ্যের ১৩টি ইএসআই হাসপাতালে এখনও নিজস্ব বার্ন ইউনিট চালুর স্বপ্ন অপূর্ণই থেকে গেল। আসানসোল, দুর্গাপুর, মানিকতলা, শিয়ালদহ, উলুবেড়িয়া, বালটিকুরি, বেলুড়, বজবজ, কামারহাটি, ব্যাণ্ডেল, শ্রীরামপুর, গৌরহাটি ও কল্যাণীতে অবস্থিত হাসপাতালগুলির চিকিৎসা পরিষেবা এখন কার্যত নির্ভর করছে প্রাইভেট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তির ওপর।
কেন্দ্রীয় কর্পোরেশন মাসে মাসে শ্রমিকদের বেতনের ০.৭৫ শতাংশ এবং মালিকপক্ষের ৩.২৫ শতাংশ অর্থ কেটে নিয়ে প্রায় ৪ শতাংশ অর্থ স্বাস্থ্য প্রকল্পের জন্য ব্যবহার করছে। অথচ এত বড় অঙ্কের অর্থ থাকা সত্ত্বেও আধুনিক চিকিৎসা পরিষেবা চালুর ক্ষেত্রে কেন্দ্রের অনাগ্রহ কার্যত শ্রমিকদের সঙ্গে অবিচারের শামিল।